অনুশীলন চালাচ্ছিলেন ত্রিপুরাতেই। ভেবেছিলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামবেন। কিন্তু চোট এবং অতিমারিতে পরের পর প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায়। বিশ্বেশ্বর এই মুহূর্তে ত্রিপুরার দুই জিমন্যাস্টকে নিয়ে দিল্লির জাতীয় শিবিরে রয়েছেন। এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে খেলার জন্য এই শিবির খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু দীপা এই শিবিরে যোগ না দেওয়ায় মনে করা হচ্ছে, এই দুই প্রতিযোগিতাতেই তাঁর খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
advertisement
রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য যিনি পদক হাতছাড়া করেছেন, দেশের জিমন্যাস্টিক্সের যিনি ছিলেন পতাকাবাহক, সেই দীপা কর্মকারকে (Dipa Karmakar) নাকি সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনই তথ্য ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে। তবে কী কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে দেশীয় জিমন্যাস্টিক্সের পোস্টার গার্লকে তার বিস্তারিত উল্লেখ নেই সেই ওয়েবসাইটে।
সেই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানানো না হলেও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ডোপ পরীক্ষায় বসার জন্য তাঁকে ডেকেছিল এফআইজি অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন। কিন্তু দীপা সেই পরীক্ষায় বসেননি। এড়িয়ে গিয়েছেন তা। ডোপ পরীক্ষায় না বসার জন্যই ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন তাঁকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করেছে।
কিন্তু কেন তিনি ডোপ পরীক্ষায় বসলেন না? সে ব্যাপারে রহস্য থেকেই যাচ্ছে। দীপা কর্মকারকে ফোন পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল বন্ধ। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দি অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন দীপা হয়তো নিজের জিমন্যাস্টিকস ক্যারিয়ার ইতি টানতে পারেন। কারণ দীর্ঘদিন অনুশীলন না করে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন। বাকিদের সঙ্গে তাল মেলানো সম্ভব নয়। মনে খেলার ইচ্ছে থাকলেও শরীর আগের মত সায় দিচ্ছে না।