তাদের আশঙ্কা, মাঠের বাইরের ঘটনা পর্তুগিজ অধিনায়কের খেলায় প্রভাব ফেলবে না তো? তাও রোনাল্ডোকে ঘিরে থাকা ফুটবল জগত এই আশায় রয়েছে যে, পেশাদাররা পারফরম্যান্সের সঙ্গে সমঝোতা করে না। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে রোনাল্ডোর বিবাদ রীতিমতো চরমে পৌঁছেছে। কোচ এরিক টেন হ্যাগ ও ম্যান ইউ ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কিছুটা কোণঠাসা পাঁচবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী।
advertisement
আরও পড়ুন - শেষ দশটি ফুটবল বিশ্বকাপে কিভাবে বদলে গিয়েছে পুরস্কার মূল্য! জানলে আঁতকে উঠবেন
তাঁকে রাখতে আর রাজি নন ব্রিটিশ ক্লাবের কর্তারা। টেন হ্যাগও চান না, রোনাল্ডোর জন্য দলগত সংহতি আরও বিনষ্ট হোক। এই মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ানোর কাছে কোনও অফার নেই। যদিও তাঁর ক্লাব পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শোনা যাচ্ছে, সৌদি আরবের একটি ক্লাব রোনাল্ডোকে বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবতে নারাজ তিনি। বরং জীবনের নানা ওঠাপড়া নিয়ে তিনি আবেগতাড়িত। ছ’মাস আগে সন্তানের মৃত্যুতে তাঁর হৃদয় বিদীর্ণ। বাবার মৃত্যুও সিআরসেভেনকে যন্ত্রণাবিদ্ধ করে বারবার। এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা বলেন, অনেকেই জানেন না যে, বাবা ও সন্তানের চিতাভস্ম রাখা আছে আমার বাড়িতে। আমৃত্যু তা রেখেও দেব।
বাড়িতে থাকলে প্রতিনিয়ত তার সামনে দাঁড়িয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলি। সবসময় ভাবি, ওরা আমার পাশেই রয়েছে। রোনাল্ডোর বান্ধবী জিওর্জিনো রডরিগেজ ১৮ এপ্রিল দুই সন্তানের জন্ম দেন। তাদের মধ্যে জন্মের সময়ই একজনের মৃত্যু হয়। আগেভাগেই যার নাম স্থির হয়েছিল ‘অ্যাঞ্জেল’। তারই চিতাভস্ম রয়েছে রোনাল্ডোর কাছে।
বাবা হিসেবে অনেক পরিণত হয়েছি। জীবন দর্শন পাল্টে দিয়েছে অ্যাঞ্জেল। এক একসময় মনে হয়, সবকিছু ছেড়ে পরিবারকেই বেশি সময় দিই। সব মিলিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন আগের থেকে অনেক বেশি উদাসীন। কিন্তু পর্তুগালের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং কিংবদন্তি লুইস ফিগো জানিয়ে দিয়েছেন যারা ভাবছেন খারাপ সময় নিয়ে রোনাল্ডোকে বিদ্ধ করবেন তারা সাবধান। জীবনের শেষ বিশ্বকাপে পর্তুগালের জার্সিতে ও কিন্তু আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে কাতারে।