ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে জাদেজা বললেন, মোহালিতে তিনবার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে এই মাঠ। ঋষভ পন্থকে নিয়ে প্রথমে আমার মানিয়ে নেওয়ার টার্গেট ছিল। তবে নির্দিষ্ট টার্গেট মাথায় রাখি না। শুধু লক্ষ্য ছিল দলের রান যত সম্ভব বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। নিজের দক্ষতার উপর ভরসা ছিল। যতটা সম্ভব লেট খেলার চেষ্টা করেছি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ ছিল। আমার দায়িত্ব ছিল প্রথমে দলের রান ৪৫০ বা তার বেশি নিয়ে যাওয়া।
advertisement
কিন্তু তারপর নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারার কারণে রান বেড়ে গেল। ডবল সেঞ্চুরি নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল না। আমার ভূমিকা একজন অলরাউন্ডার হিসেবে। সেটাই নিখুঁত ভাবে করার চেষ্টা করি। দ্বিতীয় টেস্ট গোলাপি বলে।এসজি পিঙ্ক বলে খেলিনি। বেঙ্গালুরুতে নামার আগে একটু মানিয়ে নিতে হবে। আমি মনে করি এই ম্যাচে আমি পারফর্ম করলেও, একা আমার পারফরম্যান্সে দল জেতেনি। প্রত্যেকের অবদান আছে। আমরা একটা টিম হিসেবে জিতেছি।
দীর্ঘদিন খেলছি। তাই এখন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি। একটাই লক্ষ্য থাকে। যখনই মাঠে নামব নিজেকে উজাড় করে দেব। অধিনায়ক রোহিত, বিরাট এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড় ভরসা রেখেছে। এদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।
সুনীল গাভাসকার, অজিত আগারকার, মুরালি কার্তিকদের মত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মনে করছেন জীবনের সেরা ফর্মে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। এখন তিনি যাই স্পর্শ করছেন, সব যেন সোনা হয়ে যাচ্ছে। তবে এমনি এমনি হয়নি। শেষ কয়েকটা মাস এনসিএ - তে কঠিন ট্রেনিং করেছেন জাদেজা। তারই সুফল পাওয়া যাচ্ছে মাঠে।