আগামী সপ্তাহে দুবাইয়ে আইসিসির সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সভাতেই রামিজ রাজার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করা হবে চারদলিয় টি-২০ সিরিজের প্রস্তাব। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রামিজ রাজার মস্তিস্কপ্রসূত এই সিরিজ থেকে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পিসিবি কর্তারা।
advertisement
আইসিসির সামনে সেই বিষয়ে একটি রিপোর্টও দেওয়া হবে পিসিবির তরফে। এই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া লাভের টাকা ব্যবহার করা হবে ছোট ছোট দেশগুলোর ক্রিকেট পরিকাঠামো উন্নয়নে। এমনটাই প্রস্তাব দেওয়া হবে রাজার তরফে। প্রসঙ্গত গত জানুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনার কথা প্রথম জানিয়েছিলেন রাজা।
প্রতি বছর একটি টি-২০ টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা বলা হয়। প্রাথমিক পর্বে প্রতি দল একবার করে পরস্পরের মুখোমুখি হবে। গ্রুপ পর্বে মোট ৬টি ম্যাচ হবে। এরপর ফাইনাল এক ম্যাচের অথবা তিন ম্যাচের ও হতে পারে। পর্যায়ক্রমে চার দেশই টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে। তবে টুর্নামেন্টের নিয়ন্ত্রণ থাকবে আইসিসির।
কারণ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও দেশ ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে পারে। তবে চতুর্দেশিয় সিরিজ আয়োজন করতে গেলে আইসিসি ছাড়া অন্য কারুর পক্ষে সম্ভব নয়। একাধিক আন্তর্জাতিক সিরিজ, আইসিসি নানা টুর্নামেন্ট, ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ঠাসা সূচির মধ্যে চারদলিয় সিরিজের একটি সম্ভাব্য সময়ও পিসিবি বের করেছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর কথা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে কোনও এক সময় তারা টুর্নামেন্টটি করতে চায়। কারণ, অস্ট্রেলিয়া-ভারত-পাকিস্তানে তখন মরশুম শুরুর সময়, ইংল্যান্ডে শেষের সময়। টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য, বিপুল পরিমাণ আর্থিক লাভ। সম্ভাব্য আয় ৬৫ কোটি ডলারের আশেপাশে। যার বড় অংশই সম্প্রচার স্বত্ব ও বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে আসবে।
আইসিসি ও অন্যান্য সদস্য দেশগুলোকে রাজি করানোর উপকরণও থাকছে প্রস্তাবে। শুধু অংশগ্রহণকারী চার দলই আর্থিকভাবে লাভবান হবে না, আয়ের একটা বড় অংশ দেওয়া হবে আইসিসির অন্যান্য পূর্ণ ও সহযোগী দেশগুলোকে। রামিজ রাজা মনে করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ বোর্ডের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলেছেন। তাই ঝগড়া নয়, ভারতকে সঙ্গে নিয়েই পিসিবির উন্নতি সম্ভব মনে করেন রাজা।