পিসিবি ৫.৭৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২৮৪ কোটি টাকা পাবে। আইসিসি-র সব অ্যাসোসিয়েট দেশ মিলিয়ে দেওয়া হবে ৫৫১ কোটি টাকা। পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরানোর কথা আগেই জানানো হয়েছে। কারণ ভারত, পাকিস্তানে খেলতে আসবে না। উল্টো পাকিস্তানও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ভারতকে। এমন আবহেই দুই দেশের সাপে নেউলে সম্পর্কে যেন পরোক্ষে ঘৃতাহুতি করেছে আইসিসির আয়ের বা বলা ভাল লভ্যাংশের শেয়ারের নয়া মডেল।
advertisement
আরও পড়ুন -PBKS vs DC: ধরমশালার পাহাড়ে আজ বেঁচে থাকার লড়াই পঞ্জাবের, যাত্রা ভঙ্গ করতে চায় দিল্লি
যেখানে পাকিস্তানের আয় আগের থেকে অনেক বেড়েছে। তবে ভারতকে দেওয়া হবে সিংহভাগ শেয়ার। আর তাতেই চটে লাল পিসিবির কর্তা ব্যক্তিরা। বিসিসিআই প্রতি বছর ১৮৯৫ কোটি টাকা পেতে পারে আইসিসির থেকে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত প্রতি বছর এই টাকা পেতে পারে ভারত। আর এটাই মানতে পারছেন না পিসিবির চেয়ারম্যান নাজম শেঠি।
আইসিসির এই ‘একপাক্ষিক’ সিদ্ধান্তে চটে লাল পিসিবি। যদিও পিসিবির আয় আগের থেকে অনেকটাই বাড়ছে। তার পরেও ভারত কেন ১৮৯৫ কোটি টাকা পাবে এটাই হজম করতে পারছেন না পিসিবির চেয়ারম্যান। নাজম শেঠি বিষয়টি আইসিসিকে পুনরায় ভেবে দেখার কথাও বলেন। পিসিবি এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নয়। জুন মাসে এই নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
পুরো তথ্য না জানানো হলে আমরা এই প্রস্তাব মানব না। নাজম জানিয়েছেন, ‘ভারতের বেশি টাকা পাওয়া উচিত। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কী ভাবে এই ভাগটা হল তা পরিষ্কার করতে হবে।’ আইসিসির লাভের টাকা বিভিন্ন দেশের বোর্ডকে ভাগ করে দেওয়া হয় দেশগুলোর ক্রিকেটের পরিকাঠামো উন্নয়নে।
তবে পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান কি বলছেন সেটা নিয়ে চিন্তিত নয় বিসিসিআই। আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। শুধু টাকার দিক থেকে নয়, ভবিষ্যতের মার্কেটের দিক থেকেও ভারত পাকিস্তানের তুলনা চলে না। তাই বিসিসিআইয়ের পাহাড় প্রমাণ রোজগারে পিসিবির হিংসে হবে সেটাই হয়তো স্বাভাবিক।