ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। কিন্তু বোলারা তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। প্রিয়াংশ আর্য শুরুতে আউট হলেও জস ইংলিশ প্রভসিমরন সিং মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করেন। ১৪ বলে ৩০ করে আউট হন ইংলিশ। মায়াঙ্ক যাদবের এক ওভারে ৩টি ছয় মারেন ইংলিশ। তিনি আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়ার।
advertisement
প্রভসিমরন ও শ্রেয়স জুটি ঝড়ের গতিতে এগিয়ে নিয়ে যায় দলের স্কোরবোর্ড। ৭৮ রানের পার্টনারশিপ করে দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন। শ্রেয়স ২৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। এরপর একদিক থেকে প্রভসিমরন সিং নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। একাধিক চোখ ধাঁধানো শট খেলেন। অপরিদিকে, যারাই এসেছে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে। নেহাল ওয়াধরা ৯ বলে ১৬ করে আউট হন। প্রভসিমরন করেন ৯১। শেষের দিকে, ১৫ বলে ৩৩ ও ৫ বলে ১৫ করে অপরাজিত থাকেন শশাঙ্ক সিং ও মার্কাস স্টয়নিস।
২৩৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় এলএসজি। টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় লখনউয়ের। একটা সময় ৭৩ রানের মধ্যে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হাফ দল সাজঘরে ফেরত চলে যায়। এডান মার্করাম ১৩, মিচেল মার্শ ০, নিকোলাস পুরান ৬, ডেভিড মিলার ১১ রান করে আউট হন।
আরও পড়ুনঃ Andre Russell: বন্দুক হাতে রাসলেরে স্ত্রী! একের পর এক গুলিতে করছেন ঝাঝরা! ভাইরাল ভিডিও
ধুকতে থাকা ইনিংসের রাশ ধরেন আয়ূশ বাাদোনি ও আবদুল সামাদ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ৮১ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন বাদোনি ও সামাদ। আবদুল সামাদ ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। কবে দলকে কার্যত একা টানেন বাদোনি। ৪০ বলে ৭৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতার জেরে তা কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে এলএসজি।