লম্বা সময়ের পর যিনি প্রত্যাবর্তন করলেন। আর প্রত্যাবর্তন করেই দাপট দেখালেন। CSK-র দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি এখনও বাকি আছেন। হিমাচল প্রদেশের অধিনায়ক ঋষি ধাওয়ানের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে তাঁর পারফরমেন্সের থেকেও আলোচনায় তাঁর হেড প্রোটেকশন নিয়ে। গত ম্যাচে খেলার সময় তিনি হেড প্রোটেশন গিয়ার পরে খেলতে নামেন।
advertisement
ফুটবলে দেখা গেলেও ক্রিকেটে সচরাচর এই ধরনের গিয়ার ব্যবহার করতে দেখা যায় না। এরপর চর্চা শুরু হয়। প্রায় ৪ বছর পরে আইপিএলে কামব্যাক করলেন ঋষি ধাওয়ান। ৩২ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তিনি পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছিলেন। তারপর ২০২২ সালে CSK-র বিরুদ্ধে ম্যাচে কামব্যাক করলেন।
জানা যায়, গত বছরের আগের বছরে রঞ্জি ম্যাচে নাচে চোট পান ঋষি। লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা চলে। একাধিকবার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর নাকে। সেই সময়টা পুরো ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। গত বছরও তিনি মাত্র ২টো ম্যাচ ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পেরেছিলেন ঋষি। তাই এবার তিনি কোনও রিস্ক নেননি। নাককে রক্ষা করতে হেড গিয়ার পরে খেলতে নামেন।
কামব্যাকের ম্যাচেও পাওয়ার প্লে-তে বল করার দায়িত্ব পান তিনি। মাত্র ৭ রান দেন পাওয়ার প্লে-তে। ৪ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। তাঁর শিকার ছিলেন শিবম দুবে ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। শিবম দুবে একাধিক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। আর ধোনি সেরা ফিনিশার। এই দুজনকে ফিরিয়ে সিএসকের শিরদাঁড়াটা ভেঙে দেন তিনি।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, আমি ৪ বছর পর IPL-এ কামব্যাক করলাম। রঞ্জিতে যখন চোট পেলাম তখন মন ভেঙে গেছিল। আমাকে একাধিক অপারেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। যেই কারণে আমি প্রথম চারটে ম্য়াচে খেলতে পারিনি। কিন্তু আমি এখন পুরো ফিট। ২০১৩ থেকে ৪ মরশুম পঞ্জাব কিংসের হয়ে মোট ২৬টা ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। নেন ১৮ উইকেট। ব্যাট হাতেও তিনি দক্ষ।
২০১৬ সালের পর তিনি চোটের কারণে হারিয়ে যান। এরপর ফের মেগা নিলামে কামব্যাক। বিজয় হাজারে ট্রফিকে তাঁর ম্যাচ দেখে তাঁকে ৫৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মেগা নিলামে দলে নেয় পঞ্জাব। ঋষি মনে করছেন একবার যখন তিনি পঞ্জাবের প্রথম দলে সুযোগ পেয়েছেন, তখন পারফরম্যান্স দেখিয়ে সেই জায়গা ধরে রাখতে পারবেন তিনি।