লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অনুষ্ঠিত ফাইনালের দ্বিতীয় দিনেও ফাস্ট বোলাররা অসাধারণ দক্ষতা দেখান। প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ২১২ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা শক্ত অবস্থানে ছিল এবং তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে খেলা মোড় নেয়। যখন মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ধীরে ধীরে গুছিয়ে উঠছে, তখন কামিন্স দ্বিতীয় সেশনে হঠাৎ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ৬ উইকেটের মধ্যে ৪টি উইকেট তুলে নেন এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিশাল লিড এনে দেন।
advertisement
প্রথম সেশনেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে আউট করে শুরু করেন। বাভুমা ও ডেভিড বেডিংহাম একটি বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে কামিন্স এক ওভারেই কাইল ভেরেইন এবং মার্কো জানসেনকে ফিরিয়ে দেন। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি ইনিংসে তার ৫ উইকেট পূর্ণ করেন—এটি তার ক্যারিয়ারের ১৪তম পাঁচ উইকেট শিকার।
তবে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের শেষ উইকেটটি নেওয়ার সময়। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ১৩৮ রানে। যখন কাগিসো রাবাডা কামিন্সের বলে আউট হন। এটি ছিল কামিন্সের ইনিংসের ৬ষ্ঠ উইকেট। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি তার ৬৮টি টেস্ট ম্যাচে ১২৬ ইনিংসে ৩০০ উইকেট পূর্ণ করেন। তিনি ১৮.১ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। প্যাট কামিন্স লর্ডসের মাঠে এক ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া প্রথম বিদেশি অধিনায়ক হয়ে ওঠেন—টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি বিরল কীর্তি।
আরও পড়ুনঃ Preity Zinta: আইপিএল হারের পর এবার সবথেকে বড় ধাক্কা খাবে প্রীতি জিন্টা! এই যন্ত্রণা নিতে পারবেন তো?
এর আগে লর্ডসে কোনো বিদেশি অধিনায়কের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ড্যানিয়েল ভেত্তোরির। যিনি ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৯ রানে। কামিন্স শুধু ভেত্তোরির রেকর্ডই ভাঙেননি, বরং ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অধিনায়ক ও পেসার বব উইলিসেরও রেকর্ড ছাপিয়ে গেছেন। উইলিস ১৯৮২ সালে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১০১ রানে।