নিজের আত্মজীবনী সুলতান, দ্যা মেময়ার বইটিতে আক্রম উল্লেখ করেছেন স্ত্রী হুমাকে বাঁচাতে কিভাবে তিনি ভারতীয় অফিসারদের সাহায্য পেয়েছিলেন চেন্নাইতে। লাহোর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিলেন ওয়াসিম। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন বলে। হঠাৎ করেই চেন্নাই বিমানবন্দরে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে নামতে হয় বিমানকে।
advertisement
কাঁদছিলেন আক্রম। স্ত্রী হুমা পুরোপুরি সংজ্ঞাহীন। কিন্তু ওই মুহূর্তে তাদের কাছে ভারতীয় ভিসা ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় অফিসাররা তাদের আটকাতেই পারতেন। কিন্তু চেন্নাই বিমানবন্দরের অফিসাররা ওয়াসিমকে বলেন চিন্তা করার কারণ নেই। ভিসা নিয়ে পরে দেখা যাবে। আপনি আগে কাছাকাছি বড় হাসপাতালে নিয়ে যান স্ত্রীকে।
বলে সব ব্যবস্থা তারাই করে দেন। এক মুহূর্ত দেরি না করে তারাই অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করে দেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। সেখানে দুদিন লড়াই করার পর মৃত্যু হয় হুমার। নিজের আত্মজীবনীতে ওয়াসিম আক্রম বলেছেন তার স্ত্রীকে বাঁচাতে নিয়ম ভেঙে সেদিন ভারতীয় অফিসাররা যে সাহায্য করেছিল সেটা ভুলবেন না তিনি।
দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক যাই থাক ক্রিকেট মাঠের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কিন্তু খেলার বাইরে চিরকাল ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে অধিকাংশ সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখেছেন তিনি। ওয়াসিম আক্রম দীর্ঘদিন আইপিএলে কাজ করেছেন। কিভাবে মিডিয়া সামলাতে হয় সেটাও নাকি শিখেছেন ভারত থেকে।
ক্রিকেটকে বিশ্ব বাজারে ব্র্যান্ড এবং রোজগারের রাস্তা বানানোর ক্ষেত্রে ভারত এক নম্বরে কিভাবে উঠে এল, তাই নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন সুলতান অফ সুইং। তিনি অবশ্যই মনে করেন একদিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের ভারতে খেলতে আসা উচিত। তিনি আশা রাখেন পরিস্থিতি ভাল হলে ভারত আগামী দিনে পাকিস্তানের আসবে। কারণ বিরাট কোহলিকে কোটি কোটি পাকিস্তানি তাদের দেশের মাটিতে একবার খেলতে দেখতে চান।