হরিয়ানার গুরুগ্রাম এখন এমনই পুনর্মিলনে মেতেছে। হরিয়ানার নুহ জেলার চান্দনি গ্রামের মেয়ে এমিরেটস বিমানসংস্থার ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সামিয়া আরজু। প্রায় চার বছর আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটার হাসান আলিকে বিয়ে করে সেদেশেই বাস করছিলেন। এদেশে আসার সুযোগ পাননি। সেই সুযোগ নিয়ে এল আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ।
advertisement
পুরুষদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাসান আলি। দলের সঙ্গে এই সময় তিনি ভারতে। তাই বাড়ি ফিরেছেন সামিয়াও। সঙ্গে এসেছে তাঁর আড়াই বছরের কন্যা সন্তান হেলেনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে গুরুগ্রামে বাপের বাড়ি পৌঁছেছেন সামিয়া। আগামী ১৪ অক্টোবরে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে ভারত-পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে দুই দেশে। তারই মধ্যে সামিয়ার বাড়িতে পুনর্মিলন উৎসব শুরু হয়েছে।
নুহের আদত বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে সামিয়ার বাবা থাকতেন ফরিদাবাদে। সেখানেই সামিয়ার জন্ম, পড়াশোনা। ফরিদাবাদের মানব রচনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক (অ্যারোনটিক্যাল) করেছেন। পারিবারিক ভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁদের পুরনো সম্পর্ক। সামিয়ার বাবা লিয়াকত আলি জানান, দেশ ভাগের সময় পাকিস্তানের সাবেক এমপি এবং পাকিস্তান রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সরদার তুফায়েল ওরফে খান বাহাদুর তাঁর ঠাকুরদার নিজের ভাই। পরিবারের অনেক সদস্যই এখনও পাকিস্তানের কাসুর জেলার কাচ্চি কোঠি নাইয়াকিতে বসবাস করেন। এরই মধ্যে সামিয়ার বিবাহ স্থির হয়।
সামিয়া-হাসানের মেয়ে হেলেনা হাসান আলির জন্ম হয় ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল। সামিয়ার বাবা লিয়াকত আলি নুহ জেলার চান্দনি গ্রামের প্রাক্তন BDPO। এমনিতেই সামিয়ার রূপ নিয়ে চর্চা হয় ইন্টারনেট দুনিয়ায়। পাক-বোলারকে বিয়ে করার সময়ও আলোচনা কম হয়নি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ পাকিস্তান থেকে ওয়াঘা সীমান্ত আসেন সামিয়া। ভারতে প্রবেশের পর সড়কপথে গুরুগ্রামে পৌঁছন।
এদিকে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হতে চলা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে শুধু পাকিস্তান দল ভারতে পৌঁছেছে। তাই জামাই শীঘ্রই শ্বশুরবাড়িতে আসবেন বলে অপেক্ষা করছেন সকলে। তবে তার জন্য বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্তই হয়তো অপেক্ষা করতে হবে।