বেশ কয়েকটি কারণে সুশীল কুমারের নাম এই ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায়। সুশীল কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুশীল ফেরার। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ওই কুস্তিগীরের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই সুশীল কুমারকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে সুশীল কুমারের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় উত্তরাখণ্ডে। পুলিশ মনে করছে, উত্তরাখণ্ডের কোনও জায়গায় লুকিয়ে রয়েছেন অলিম্পিকে পদক জয়ী কুস্তিগীর। এরই মধ্যে পুলিশের চারটি দল সুশীল কুমারের খোঁজে উত্তরাখণ্ড পৌঁছেছে। সুশীল ছাড়াও অজয়, মোহিত নামের দুজনকেও খুঁজছে দিল্লি পুলিশ। সাগর নামের ওই কুস্তিগীরের হত্যাকাণ্ডে সুশীল কুমার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এর পর পুলিশের তরফে জানানো হয়, স্টেডিয়ামের পার্কিং চত্বরে সেদিন সুশীল কুমার, অজয়, প্রিন্স দালাল, অমিত এবং অন্যদের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়েছিল।
advertisement
ওই কুস্তিগীরের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রিন্স দালাল মোবাইলে গোটা ঘটনা রেকর্ড করেছিল বলেও পুলিশের কাছে খবর রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি এসইউভি সমেত মোট পাঁচটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। যার মধ্যে একটি গুরুগ্রামের কোনও কোম্পানির নামে নথিভুক্ত রয়েছে। আরেকটি গাড়ি হরিয়ানার কুখ্যাত অপরাধী মোহিতের নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ স্টেডিয়ামের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করেছে। তবে যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সিসিটিভি ছিল না। স্টেডিয়ামের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় ওই এলাকায় ১০-১৫ জন কুস্তিগীর ছিল। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা ফেরার হয়ে যায়। ২৩ বছর বয়সী কুস্তিগীর সাগর হাসপাতালে মারা যান। দুপুর বারোটার সময় ঘটনা ঘটেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।