নিশ্চিন্ত জীবন চেয়েছিলেন জাপানে। কিন্তু জাপানি প্রশাসন ওয়ার্ক পারমিট না থাকলে তাদের দেশে থাকতে দেবেন কেন? তাই সোজা পালিয়েছিলেন রাজধানী টোকিও থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে। এমন গল্প যেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট। অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল জুলিয়াস সেকিতোলেকোর। কয়েকদিন আগে উগান্ডার এই ভারোত্তোলক টোকিওর টিম হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
চিন্তায় পড়েছিল আয়োজকরা। তবে নিখোঁজ হওয়ার আগে হোটেলের বিছানায় একটি চিঠি রেখে গিয়েছিলেন তিনি। লেখা ছিল, ‘আমি কাজ করতে চাই জাপানে।’ আয়োজকদের তরফ থেকে রিপোর্ট করা হয়েছিল পুলিসের কাছে। তারপরেই চিরুনি তল্লাশি করে তাঁকে ধরে ফেলে পুলিস প্রশাসন। টোকিও থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে নাগোয়া স্টেশনে জুলিয়াসের খোঁজ পাওয়া যায়।
advertisement
জাপানের নামী শহর ওসাকার ইজুমিসানো হোটেলে ওঠে উগান্ডা টিম। রুটিন কোভিড টেস্টের জন্য জুলিয়াসের ডাক পড়ে। তার আগেই টিম হোটেল ছেড়ে তিনি বুলেট ট্রেন ধরে পৌঁছে যান নাগোয়ায়। ওলিম্পিকসের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। উগান্ডার অ্যাথলিট বেপাত্তা হওয়ার পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল আয়োজকরা।
অবশেষে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তবে জুলিয়াসকে আর উগান্ডার বাকি অ্যাথলিটদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে না। তাঁকে ইতিমধ্যেই দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে জুলিয়াসের এই কাণ্ডে বাকি অ্যাথলিটদের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব পড়বে না মনে করেন উগান্ডার দলের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধি। পদক জিতে ফেরাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।তবে অনেকে ব্যাপারটাকে অপেশাদার মনে করলেও খুব খারাপ কাজ করেছেন ওই ভারোত্তোলক, সেটা মনে করেন না। নিজের উন্নতি কে না চায় ? কিন্তু সবকিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে।
