গেমস ভিলেজে বসে বসে একে একে পূজা রানী, মেরি কম, সিন্ধু, সতীশ কুমারদের ব্যর্থতার কথা শুনেছেন, জেদ বেড়ে গিয়েছে। বাংলার আলি কামার জাতীয় মহিলা দলের কোচিং সদস্য। তিনি মনে করেন এত কম বয়সে পুরুষ বা মহিলা দুই বিভাগ মিলিয়ে এত পরিণত মস্তিষ্কের বক্সারকে আগে পাওয়া যায়নি। কথার কথা নয়। নিজের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত নিংড়ে দিতে চান ফাইনালে পৌঁছেতে। কিন্তু এটা অলিম্পিক। সেরাদের সেরার লড়াই।
advertisement
সোনা পাওয়ার প্রথম ধাপেই কঠিন লড়াই অপেক্ষা করে রয়েছে লভলিনার সামনে। তাঁকে খেলতে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলির বিপক্ষে। বয়সে লভলিনার থেকে মাত্র কয়েক মাসের ছোট বুসেনাজ। মাত্র দশ বছর বয়স থেকে বক্সিং শেখা শুরু করেন স্থানীয় ক্লাব ট্র্যাবজনস্পরে। স্থানীয় প্রশিক্ষকের কাছে হাতেখড়ি। শারীরিক ভাবে সমর্থ ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। সেটাই বক্সিংয়ে কাজে দিয়েছে।
টোকিয়োর আগে তুরস্ক থেকে কোনও মহিলা বক্সারই অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেননি। কিন্তু এ বার তুরস্কের চার বক্সারের মধ্যে তিন জনই মহিলা। শুধু তাই নয়, বুসেনাজ আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও। যুব স্তর থেকেই একের পর এক পদক জিততে শুরু করেন বুসেনাজ। তুরস্কের অখ্যাত এক এলাকা থেকে উঠে আসা মেয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে উঠে সোনা জিতে নেন। ফাইনালে তিনি হারিয়েছিলেন চিনের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াং লিউকে। এবারের অলিম্পিকে একটিও গেম হারেননি বুসেনাজ।
ল্যাপটপে বসে তাঁর খেলা খুঁটিয়ে দেখেছেন লাভলিনা। শক্তি দুর্বলতা বোঝার চেষ্টা করেছেন। আগামী বুধবার তুরস্কের এই বক্সারের বিরুদ্ধে তিনি ইতিহাস তৈরি করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। লন্ডনে মেরি কম ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। কোনও ভারতীয় মহিলা এবং পুরুষ বক্সারের ব্রোঞ্জ পদকই সবচেয়ে বড় সাফল্য। সেমিফাইনাল জিততে পারলে লাভলিনা দেশের বক্সিংয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করবেন।
