পরপর ঘটনা থেকে জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, সাম্প্রতিককালে কুস্তি থেকে মন অনেকটাই সরে গিয়েছিল সুশীলের। বরং তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন নানা বিতর্কিত কাজকর্মে। সাগর রানা খুন হওয়ার পর দীর্ঘদিন পুলিশের থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সুশীল। অবশেষে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে সুশীল কুমারের স্ত্রী-র নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যেখানে এসে আশ্রয় নিত দুষ্কৃতিরা।
advertisement
দিল্লি পুলিশের নজরে থাকা সন্দীপ কালাও নাকি ওই ফ্ল্যাটে এসে থেকে গিয়েছে। সন্দীপ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা কালা যাথেড়ি গ্যাং নামে এলাকায় পরিচিত। কিছুদিন আগে দুষ্কৃতিদের ওই ফ্ল্যাট খালি করে দিতে বলেছিলেন সুশীল। কালা তা চায়নি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ভালই বিবাদ হয়। এরপর কালার বিরুদ্ধে জোট পাকাতে থাকেন সুশীল। এর মাঝেই সাগর খুনে নাম জড়িয়ে যায় সুশীলের। কালার ভাইপো সোনুও ছত্রশল স্টেডিয়ামে ওইদিন বিবাদের সময় উপস্থিত ছিলেন। ঘটনায় তিনি আহত হন। এরপরেই সুশীলকে হুমকি দিতে শুরু করে কালা।
সাগর খুনে নাম জড়ানোয় এমনিতেই বিব্রত ছিলেন সুশীল। বিপদ না বাড়িয়ে তিনি কালার সঙ্গে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। পালিয়ে বেড়ানোর সময় একাধিকবার কালার সঙ্গে নাকি তাঁর কথা হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত মধ্যস্থতা হয়েছে কি না তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তবে এ রকম নামী কুস্তিগীরের এই ধরনের ঘটনায় জড়াতে দেখে বিস্মিত পুলিশকর্তারা।
সুশীল অবশ্য তদন্তে সাহায্য করছেন পুলিশ কর্তাদের। কিন্তু তিনি সরাসরি খুনের ব্যাপারে যুক্ত কিনা এই কিনারা করতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে পুলিশের। সত্যি যাই হোক, ভারতীয় খেলাধুলার ইতিহাসে এ যেন এক লজ্জাজনক অধ্যায়। যে সুশীলের কাঁধে গর্বিত হত জাতীয় পতাকা, সেই তারকা আজ খুনের দায়ে দোষী।