টোকিয়ো রওনা হওয়ার আগে অলিম্পিক্সের ওয়েবসাইটে সিন্ধু বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো যে ভাবে খেলেন, তা নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করার ভাষা নেই। ওঁর দক্ষতা, টেকনিক দুর্ধর্ষ।’’ রোনাল্ডো ছাড়াও সিন্ধু ভক্ত দুই টেনিস কিংবদন্তি সেরিনা উইলিয়ামস এবং রজার ফেডেরারেরও। বলেছেন, ‘‘সেরিনা এক জন মহিলা এবং মা হিসেবে বিশ্বাস করেন সব সামলাতে পারবেন। দুরন্ত ভাবে সব কিছুই সামলাচ্ছেন। খুব শক্ত ধাতের মহিলা সেরিনা। পাশাপাশি আর এক কিংবদন্তি ফেডেরার। এই বয়সেও যে ভাবে নিজের খেলা ধরে রেখেছেন, সেটা সোজা নয়।’’
advertisement
সিন্ধুর কোচ, প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা পুল্লেলা গোপীচন্দও মনে করেন, এ বার মোট পদকের সংখ্যাটা দুই অঙ্কেও পৌঁছে যেতে পারে। ‘‘আমার তো মনে হয় অলিম্পিক্সের ইতিহাসে ভারত পদক তালিকায় সেরা জায়গায় থাকবে। লন্ডনে আমরা ছ’টি পদক জিতেছিলাম। এ বার সংখ্যাটা দু’অঙ্কে পৌঁছে গেলেও অবাক হব না,’’ এক ওয়েবিনারে বলেছেন গোপী। যোগ করেছেন, টোকিয়োর জন্য ভারতীয় অ্যাথলিটরা সরকারের কাছ থেকে দারুণ সাহায্য পেয়েছেন। তাই ফল এ বার খুবই ভাল হওয়ার কথা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুটিং, বক্সিং আর কুস্তি আছে। সঙ্গে ভারোত্তোলনে মীরাবাই চানু। ওদের মধ্যে থেকে যে কেউ পদক আনতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।’’
কিন্তু তাঁর নিজের ছাত্রী সিন্ধু এ বার কি করবেন? রিয়ো অলিম্পিক্সে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। টোকিয়োয় কি তাঁর গলায় সোনার পদকই ঝুলবে? গোপীর জবাব, ‘‘ব্যাডমিন্টনে আমরা রিয়োর থেকেও ভাল কিছু করতে পারি। নিশ্চিত ভাবেই সিন্ধু সোনার দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। এটা ঘটনা যে, সাত্ত্বিকসাইরাজ (রনকিরেড্ডি) ও চিরাগ (শেট্টি) বেশ কঠিন সূচি পেয়েছে। তবু আমি বলব, ওদের অলিম্পিক্স থেকেও পদক আনার মতো ক্ষমতা আছে"। সাই প্রণীতের ক্ষেত্রেও একই কথা বলতে হয়।
ব্যাডমিন্টনে শুধু টোকিও অলিম্পিক নয়, চিন - জাপানের দাদাগিরি ভেঙে আগামী কয়েক বছর রাজ করবে ভারত মনে করেন গোপী।
