লিঅম্পিক আসর এক বছর পিছিয়ে গেলেও সেই দলে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই মেহুলির। তবে এখনও একটা ক্ষীণ আশা দেখছেন জয়দীপ। প্রাক্তন অলিম্পিয়ান বলেন," চলতি বছর অলিম্পিক হলে সেখানে পয়েন্টের বিচারে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা মেহুলির। তবে এখন দেখার এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান দলই অলিম্পিকের জন্য পাঠায় কিনা ফেডারেশন। যদি আগামী বছর বিশ্বকাপের পর নতুন করে পয়েন্ট বিচার করে নতুন দল তৈরি করা হয় সে ক্ষেত্রে একটা সুযোগ থাকছে। এখনও অলিম্পিকের জন্য দল ঘোষণা হয়নি। তবে আমরা অলিম্পিক নয় ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে বেশি ভাবছি।"
advertisement
২০২২ সালে শ্যুটিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমস রয়েছে। সবকটা প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করতে চান মেহুলি। অনুশীলনের ফাঁকে মেহুলি জানান," দীর্ঘ 84 দিনের জন্য বাড়িতেই থাকতে হয়েছে। সেখানে শ্যাডো অনুশীলন করতাম। তবে রাইফেল হাতে গুলি ছুঁড়ে অনুশীলন করার কোনও উপায় ছিল না। দীর্ঘদিন পর অনুশীলন করতে পেরে তাই খুব আনন্দ হচ্ছে।"
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বালির অ্যাক্যাডেমিতে অনুশীলন শুরু করেছেন জয়দীপ। প্রথমে থার্মাল চেকিংয়ের মাধ্যমে তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হচ্ছে। হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করার পরেই কেউ অ্যাক্যাডেমিতে তে ঢুকতে পারবেন। কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকা প্রত্যেকেই ফেস গার্ড ব্যবহার করছেন। শ্যুটিং এমনিতেই ব্যক্তিগত খেলা। তবুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুজন শ্যুটারের মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা ফাঁকা রাখা হচ্ছে। রাইফেল গুলোকে বারবার স্যানিটাইজার দিয়ে মোছা হচ্ছে। মেহুলি জানান," করোনা নিয়ে ভয় আছে। তবে সমস্ত রকম নিয়ম মেনেই অনুশীলন শুরু করেছি। মাস্ক পড়ে শ্যুটিং করা সম্ভব না। কারণ রাইফেলের ওপর আমাদের গাল রাখতে হয়। আর শ্বাস-প্রশ্বাসের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এক হাতে গ্লাভস পরা যেতে পারে তবে সেটাও পুরো হাত দেখা হলে চলবে না। তাই অনুশীলন শুরুর আগে বারবার হাত ধুয়ে নিচ্ছি।"
জয়দীপ কর্মকার জানান, "কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ক্রীড়াবিদদের অনুশীলন শুরুর কথা বলা হয়েছে। তাই মেহুলি অনুশীলন শুরু করল। আমার দুটি অ্যাক্যাডেমি স্কুলে তাই সেই গুলি এখনও বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র হাওড়ার বালির এই অ্যাক্যাডেমি চালু করলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে।"
লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে থেকে ঘরের কাজ করেছেন মেহুলি। রান্না করা থেকে ঘর মোছা সবই করতে হয়েছে বিগত দিনগুলোতে। মজা করে মেহুলি জানান, "লকডাউনে নতুন অনেক কিছু শিখেছি। প্রচুর ছবি আঁকতাম। মায়ের কাছ থেকে রান্না করা শিখে নিয়েছি। তবে এবার শুধু অনুশীলনে মন দিতে চাই।" করোনা আবহে আপাতত কোনও টুর্নামেন্ট সামনে নেই মেহুলি ঘোষের কাছে। জয়দীপ কর্মকারের কাছেই অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি রাখতে চান বাংলার এই তারকা শ্যুটার।
Eron Roy Burman
