কিন্তু এ বছর সব মিলিয়ে মাত্র ৮ টি ডাবলস ম্যাচ খেলেছেন সানিয়া। তাই কিছুটা প্রস্তুতির খামতি ভোগাতে পারে। টোকিওতে পৌঁছে একটা দিনও সময় নষ্ট করেননি ভারতীয় টেনিসের গ্ল্যামার গার্ল। অঙ্কিতার সঙ্গে যদিও দীর্ঘদিন নিজের অ্যাকাডেমি তে অনুশীলন করেছিলেন। শনিবার প্রথম ম্যাচে ইউক্রেনের জুটির সামনে পড়তে চলেছেন সানিয়ারা। লুডমালা কিচেনক এবং নাদিয়া কিচেনক জুটির বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাঁদের।
advertisement
তার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সানিয়া যা বলেছেন তার সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, এটা আমার চতুর্থ অলিম্পিকস। স্বাভাবিকভাবেই আলাদা এক রোমাঞ্চ অনুভব করছি। সোমবারই পা রেখেছি গেমস ভিলেজে। এখনও পর্যন্ত অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। অন্তিম পর্বের প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। এত বড় মঞ্চে সেরাটা মেলে ধরার সুযোগ সহজে হাতছাড়া করতে চাই না।
গতবার রিওতে অল্পের জন্য পদক খোয়াতে হয়েছিল। সেই দুঃখ আজও ভুলতে পারিনি। তাই টোকিও গেমসকে স্মরণীয় করে রাখাই আমার একমাত্র সংকল্প। ওলিম্পিক উৎসবের মধ্যেও করোনা আতঙ্ক রয়েছে। শুনছি, অনেক প্রতিযোগী সংক্রামিত। তবে আমরা সবাই সতর্ক। উদ্যোক্তারাও চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না। কোভিড বিধি মেনেই গেমস ভিলেজে থাকছি।
গত বছর করোনার কারণে অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়েছিল। টোকিও গেমস না হওয়ার আশঙ্কা গ্রাস করেছিল আমাকেও। শেষপর্যন্ত তা সত্যি হলে অনেকেই ভেঙে পড়তেন। যাই হোক, স্থানীয় আয়োজক কমিটির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থাকে এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। অতীতে তিনবার অলিম্পিকস অংশ নিয়েছি। তবে সরকারের এমন ইতিবাচক পদক্ষেপ কখনও দেখিনি।
টোকিও গেমসে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় প্রতিযোগীদের প্রস্তুতিতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। উন্নত পরিকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা টোকিওতে সেরাটা উজাড় করে দিয়ে বেশি সংখ্যক পদক জিততে পারি। এবার আমাদের দেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। আশা করছি, এবার পদক জয়ের নজির গড়তে সক্ষম হব আমরা।এখন দেখার সানিয়া এবং পার্টনার অঙ্কিতা কতটা সফল হন।
