রবিবার রোলা গাঁরো শুরু থেকেই নাদাল ঝড়ের সাক্ষী ছিল। প্রথম সেটেই তিনবার জোকারের সার্ভিস ভাঙেন রাফা। সেটটিও জেতেন ৬–০ গেমে। এরপর দ্বিতীয় সেটে কিছুটা লড়াই করলেও ৬–২ গেমে হেরে যান জোকার। তবে তৃতীয় সেটে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফরাসি ওপেনে নাদালকে একবার সুযোগ দেওয়া মানে, তা হারেরই সমান। আর শেষপর্যন্ত হলও তাই।
advertisement
অন্যদিকে, শনিবারই মহিলাদের সিঙ্গলসে চতুর্থ বাছাই সোফিয়া কেনিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন পোল্যান্ডের (Poland) ইগা সোয়াইতেক (Iga Swiatek)। এই টেনিস খেলোয়াড় ভাঙেন অনন্য একটি রেকর্ডও। ২৮ বছর পর কনিষ্ঠতম মহিলা হিসেবে ফরাসি ওপেন জিতে নজিরও গড়েন তিনি। ১৯ বছর বয়সি সোয়াইতেকের পক্ষে খেলার ফল ছিল ৬–৪, ৬–১।
খেলার জগত ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে এখন। কোভিড আক্রান্ত স্পেনের বসন্তের বাতাস যেন বইয়ে আনলেন নাদাল। বিতর্ক তাঁর সারাজীবনের সঙ্গী। এই শীতে কেন খেলা আয়োজন হচ্ছে, তা নিয়ে কথা তুলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য যে তাঁর কপালে সোনার অক্ষরে লিখে রেখেছে শ্রেষ্টত্বের বার্তা। সেই ভাগ্যলিখন পাল্টে দেবেন, এমন সাধ্য সার্বিয়ার দেশের খেলোয়াড়ের কই। শেষে ক্লে কোর্টে হাঁটু গেড়ে বসে আত্মবিশ্বাসের যে চিৎকার নাদালের গলা চিরে বেরিয়ে এল, তা আসলে সাফল্যের অহঙ্কার। যা নাদালের মতো সম্রাটদেরই মানায়।