খেলার ফল ২১-১৩, ২২-২০৷ প্রথম গেমে জাস্ট প্রতিপক্ষকে খাপ খুলতে দেননি ভারতীয় শাটলার৷
দ্বিতীয় গেমে জাপানি ইয়ামাগুচি কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও সিন্ধু অপ্রতিরোধ্য ছিলেন দ্বিতীয় গেম জিতে নেন ২২-২০ তে৷
এদিকে রিও অলিম্পিক্সের পর ফের একবার অলিম্পিক্স পদক জয়ের হাতছানি হায়দরাবাদি এই শাটলারের সামনে৷
মাত্র পাঁচ ফুট এক ইঞ্চির উচ্চতা নিয়েও দুরন্ত রিফ্লেক্স এবং কোর্ট কভারেজ তার অন্যতম শক্তি। সিন্ধুর বিরুদ্ধে খেলেছেন মোট ১৮ বার। সিন্ধু জিতেছেন ১১ বার। ইয়ামাগুচির জয় সাতটি।
উচ্চতা, শক্তিতে ভারতীয় তারকা এগিয়ে থাকলেও, ইয়ামাগুচি কিন্তু ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এদিন সিন্ধু জিতে যাওয়ার পর জাপানি তারকা অন্য একটি ম্যাচে খেলছিলেন। সিন্ধুর দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক সেই ম্যাচ পুরো দেখেছেন। সিন্ধু জানিয়েছিলেন ডেনমার্কের প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে একটা সময় ফোকাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। নিজের ডিফেন্সে বেশি জোর দিচ্ছিলেন। কিন্তু পেছন থেকে পার্ক টানা ভুল ধরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেইমতো নিজেকে শুধরে নিয়েছিলেন দ্বিতীয় গেমে।
জাপানির বিরুদ্ধে ম্যাচ আরও কঠিন হবে মেনেছিলেন ভারতীয় তারকা। তবে পাশাপাশি ইয়ামাগুচির পক্ষেও লড়াইটা সহজ হবে না জানিয়েছিলেন রাখলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের নতুন তারকা। প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ডেনমার্কের মিয়া ব্লিচফেল্ডকে হারিয়ে অলিম্পিক্সের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠছিলেন ভারতের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকা ৷ হায়দরাবাদি শাটলার এদিন ম্যাচ জিততে সময় নেন মাত্র ৪১ মিনিট ৷ জিতলেন স্ট্রেট গেমে ৷ খেলার ফল ২১-১৫, ২১-১৩ ৷ প্রথম গেম জিততে সিন্ধুর সময় লাগে মাত্র ২২ মিনিট ৷ দ্বিতীয় গেম জেতেন আরও কম সময়ে, ১৯ মিনিটে ৷
ডেনমার্কের প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাচে সেভাবে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি এদিন ৷ ফলে সহজেই ম্যাচ জেতেন সিন্ধু ৷ টোকিওয়ে ষষ্ঠ বাছাই ভারতীয় তারকা ক্রমেই এগিয়ে চলেছেন পদক জয়ের পথে ৷ ভারতের আশা-ভরসা এখন তিনিই ৷কিন্তু শুক্রবার চলতি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি কঠিন লড়াই সিন্ধুর একথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত চাপ নিতে রাজি নয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের প্রধান তারকা।