দীপা কর্মকারের অনুপস্থিতিতে প্রণতির উপরই পদক জেতার ব্যাপারে আশা করে বসে আছেন ১৩০কোটি ভারতবাসী।কিন্তু এই প্রণতির ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্স এ যাওয়া এপ্রিল অবধি ঠিক ছিল না। ২০২১ এর এপ্রিলে সিনিয়র এশিয়ান জিমন্যাস্টিক কোরোনা অতিমারির কারণে বাতিল হয়ে যায়।তার জেরে প্রণতি টোকিও অলিম্পিক্স এ যাওয়ার টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায়।
প্রণতির প্রস্তুতির জন্য কলকাতার সাইতে তার এবং তার টিমের জন্য প্রস্তুতির ব্যাবস্থা করা হয়। তার কোচ মনোহর শর্মা এদিন বলেন যে প্রণতি কঠোর পরিশ্রম করেছেন এই কদিন। রোজ রাত ১০টায় ঘুমাতে হত সবাইকে কারণ পরের দিন ভোর থেকে আবার ট্রেনিং শুরু হয়ে যেতো। অবশ্য তাদের লক্ষ্য ছিলো ২০২২ এশিয়ান গেমসে ভাল ফল করা।কিন্তু এখন অবশ্য লক্ষ্য পরিবর্তন হয়ে টোকিও অলিম্পিক্স হয়েছে।
advertisement
বাংলার মেয়ে প্রণতি এখনই পদক নিয়ে কিছু ভাবতে চাইছেন না। তার লক্ষ্য ফাইনালে ওঠা। জার্মানির সুটগার্টে একদমই ভাল ফল করেনি প্রণতি। তাই টোকিওতে খেলা নিয়ে কেউই আশা রাখছিলেন না। কিন্তু ২০২১ এর সিনিয়র এশিয়ান জিমন্যাস্টিক স্থগিত হয়ে যাওয়ায় টোকিওর আশা দেখতে শুরু করেন বাংলার মেয়েটি। তিনি মনে করেন এটা ভগবানের আশীর্বাদ। এই প্রথমবার ভারত থেকে এত বেশি প্রতিযোগী অংশ নেবেন কোনো একটি অলিম্পিক্সে।
দীপা কর্মকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন প্রণতি নায়েক। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া করেছিলেন দীপা কর্মকার। এমনকী প্রণতি এও জানিয়েছেন যে দীপা কর্মকারের থেকে তিনি নিয়মিত পরামর্শ গ্রহণ করেন। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া প্রণতিকে বিশেষ অনুমতি দেয় যে তাঁদের সরঞ্জাম নিয়ে প্রণতি অনুশীলন করতে পারবেন।
পাশাপাশি SAI-এর পক্ষ থেকে তাঁকে সবথেকে বেশি সাহায্য করা হয়। মাসাজ, ফিজিওথেরাপি থেকে কোচ সবই তাঁকে দেওয়া হয়েছে। কোচ মিনারা বেগম ছোট থেকে তৈরি করেছেন এই মেয়েকে। তবে তিনি সাই থেকে অবসর নেওয়ায় প্রণতি কোচ হিসেবে মিনারাকে জাপান পাঠানো হয়নি। এই নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মিনারা। তবে ছাত্রী পদক নিয়ে ফিরুক, এটা মনেপ্রাণে চান মিনারা বেগম।
