গত বছর করোনার কারণেই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল টোকিও অলিম্পিক। কিন্তু প্রথম ঢেউ যেতে না যেতেই হাজির ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। রূপ বদলে আরও ক্ষতিকর হয়ে গিয়েছে কোভিড ভাইরাস। গ্রেট ব্রিটেন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন তো রয়েইছে, পাওয়া গিয়েছে আরও একটি ভয়ানক রূপ। আর প্রত্যেকটিই ভিন্ন ভিন্ন এবং এগুলির মারণ ক্ষমতাও আরও বেশি। এই পরিস্থিতিতেই আয়োজিত হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক।
advertisement
জাপান প্রশাসন, অলিম্পিক আয়োজক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা এখনও বিশ্বের জনপ্রিয়তম টুর্নামেন্টটি আয়োজনের পক্ষেই। ইতিমধ্যে বিদেশি দর্শকদের জাপানে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বদেশিরা স্টেডিয়ামে যেতে পারবেন কিনা, সেব্যাপারে আগামী মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও জাপানিরা নিজেরাই অলিম্পিক আয়োজনের বিপক্ষে। এই পরিস্থিতিতেই জাপানি চিকিৎসক নাওটো উয়েয়ামা শোনালেন এই আতঙ্কের কথা।
তিনি জানিয়েছেন, “টোকিও অলিম্পিক আয়োজিত হলে বিভিন্ন জায়গার ভিন্ন ভিন্ন স্ট্রেনগুলি একত্রিত হবে। একে-অপরের সংস্পর্শে আসবে। আর তা থেকেই জন্ম নিতে পারে অলিম্পিক স্ট্রেন। অলিম্পিক শেষ হলেও, যা সামনে আসতে পারে। নয়া এই স্ট্রেন আগের তুলনায় আরও বেশি ধংসাত্মকও হতে পারে। আর এখান থেকেই উৎপত্তি হওয়ায় সেই স্ট্রেনটির নামই হবে টোকিও অলিম্পিক স্ট্রেন। আগামী ১০০ বছরেও যা নিয়ে কম সমালোচনা হবে না।” এখন দেখার এই আতঙ্কের মধ্যেই শেষপর্যন্ত অলিম্পিক আয়োজন হয় কি না!