নিউটাউনে কোচ জয়দীপ কর্মকারের শুটিং অ্যাক্যাডেমি বন্ধ লকডাউনের জন্য। ফলে অনুশীলন করতে পারছেন না মেহুলি। কোচ জয়দীপ কর্মকারের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতেই চলছে সিমুলেশন ট্রেনিং। মূলত শ্যাডো প্র্যাকটিস। বাড়িতে রাইফেল শুটিং করার জায়গা নেই মেহুলি ঘোষের। তাই প্রতিযোগিতার মতো করেই শ্যাডো অনুশীলন চলছে। প্রতিযোগিতার সময় পড়া জ্যাকেট ও সরঞ্জাম নিয়েই নির্দিষ্ট পজিশনে রেখে অনুশীলন চালাচ্ছেন মেহুলি।
advertisement
বাড়িতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে গান শোনা, বই পড়ার পাশাপাশি সিনেমা দেখছেন মেহুলি। লকডাউন উঠলে শুটিং রেঞ্জে অনুশীলনের নামতে চান তিনি। বাড়িতে সিমুলেশন ট্রেনিং চললেও পারফেকশন আনতে শুটিং রেঞ্জে নামা প্রয়োজন বলে মনে করেন মেহুলি। অলিম্পিকে যোগ্যতা পাওয়ার জন্য অনুশীলন করেছিলেন মেহুলি ঘোষ। তবে আপাতত বাতিল সব টুর্নামেন্ট। এক বছর পিছিয়ে গেছে অলিম্পিক। সে ক্ষেত্রে অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জনের জন্য সময় পাবেন মেহুলি। কোচ জয়দীপ কর্মকারের মতে, "বিশ্বের সমস্ত শুটাররা এই সমস্যার সম্মুখীন। ফোকাস ঠিক থাকলে সমস্যা হবেনা মেহুলির। অলিম্পিকের জন্য নতুন সিলেকশন ট্রায়াল হবে। মেহুলি হাতে অনেকটা সময় থাকবে।" তবে আপাতত বাড়িতে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন বাংলার তরুণী শুটার। তবে সরকারি নির্দেশ মেনে নিজে যেমন গৃহবন্দী রয়েছেন। সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দী থাকার আবেদন করছেন মেহুলি।
মেহুলির কোচ কাম মেন্টর জয়দীপ কর্মকারও নিজেকে নিউটনের ফ্ল্যাটে গৃহবন্দী রেখেছেন। সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে। টেলিফোনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন মেহুলি সহ সব ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে রাইফেলের বদলে লকডাউনে জয়দীপ কর্মকারের হাতে উঠেছে ক্যামেরা। ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত লন্ডন অলিম্পিকে সাড়া জাগানো বাংলা এই শুটার। ছবি তোলার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত শুটার জয়দীপ কর্মকার।
ERON ROY BURMAN