তখন সবে সন্ধে। ক্লাবের রোয়াকে নিয়মিত আলো জ্বলত। সেই চেনা ঠুক-ঠাক। বেস। অ্যাঙ্গল। ইঞ্চি। টাঙ্কি। প্রজন্ম পাল্টায়। শব্দগুলো চেনা থেকে যায়। আর থেকে যায় ওই আওয়াজটা। শিয়ালদহ। হলধর বর্ধন লেন। উত্তর কলকাতার তস্য গলিতে এখনও রোজ শোনা যায় সেই আওয়াজ। এখনও একই রকম নিখুঁত আঙুলে স্ট্রাইকার তৈরি করেন বিজয় মল্লিক। বয়স ৬০ পেরিয়েছে। বদলায়নি ম্যাজিক টাচ। ওই হাতেই সাদা, কালো, লাল, নীলের গোল চাকতি.... মুহূর্তে বদলে যায় স্ট্রাইকারে। তিন পুরুষের ব্যবসা। বাবার কাছে শেখা। শখ থেকেই পেশা।
advertisement
এমুনাইট বা অ্যাক্রেলিকের গোল ডাইস। বাড়িতেই ছোট্ট একটা মেশিন। যা ডাইসকে বদলে দেয় স্ট্রাইকারে। নানা রংয়ের। ওজনের। মাপের। পারিবারিক দোকানে তালা পড়েছে। তবু ৪০ বছর ধরে নিরলস বিজয়ের আঙুল।
ইদানিং শহরে আর আগের মত প্রতিযোগিতা হয় না। পাড়ার ক্লাবেও রোজ ক্যারম বোর্ড পড়ে না। প্রজন্মের রুচি টেনেছে আই প্যাড, ল্যাপটপ, ক্যান্ডিক্রাশ... পাবজি। তাই একটা ভয় তাড়া করে... রোজ। স্ট্রাইকারের কারিগরকে...।
রিপোর্টার: ঈরণ রায় বর্মন