চতুর্থ অলিম্পিকসে অংশ নিতে চলেছেন শরৎ। এরমধ্যে ২০১২ লন্ডন গেমসে তিনি ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে কমল বলেন, ‘আমার প্রথম অলিম্পিকস ২০০৪ সালে এথেন্সে। তখন নিজেকে কীভাবে তৈরি করব, তা ভাবতে ভাবতেই সময় কেটে গিয়েছিল। ২০০৮ বেজিং গেমসে বুঝলাম, খেলাধুলার সর্ববৃহৎ মঞ্চ কতটা কঠিন। ২০১৬ রিও’তে খুবই ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভাল ফল করতে পারিনি। ঊরুতে চোট নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম। এবার টোকিও’তে নামার আগে ছন্দে রয়েছি। এর আগে গেমসে প্রি-কোয়ার্টার বা শেষ আটে পৌঁছতে পারিনি। জাপানে সুদিন দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’
advertisement
শরতের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক খেতাব। একদশক পর আইটিটিএফ খেতাব জিতেছেন। ম্যাসকট ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১৯ সালে তাঁর র্যাঙ্কিং ছিল ৩০। কিন্তু গত দু’বছর ধরে শরৎ দুরন্ত ফর্মে। বিশ্বের একাধিক শীর্ষস্থানীয় প্লেয়ারকে হারিয়েছেন তিনি। দেশের এই টিটি তারকার স্মরণীয় বছর ২০১০। সোনপথে ২৫ দিনের জাতীয় শিবির শেষ করে তরতাজা শরৎ কমল।
তাঁর কথায়, ‘এখন বুঝি, চাপ ও টেনশন কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। ফিটনেসের দিক থেকে খুব ভাল জায়গায় রয়েছি। সিঙ্গলসে আমার আপাতত লক্ষ্য, শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জন করা। মিক্সড ডাবলসে মনিকা বাত্রার সঙ্গে জুটিতে পদক জেতার ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী। বিগত কয়েক বছর ধরে মহিলা টেবিল টেনিসে মনিকা যথেষ্ট উন্নতি করেছেন। শরতের সঙ্গে তাঁর জুটি ভারতীয়দের স্বপ্ন সফল করে কিনা সেটাই দেখার।
