আর অলিম্পিকের এই মহাযজ্ঞকে শ্রদ্ধা এবং স্যালুট জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মিনিস্ট্রি অফ পোর্ট, শিপিং অ্যান্ড ওয়াটারওয়েজ। কলকাতার অন্যতম ল্যান্ডমার্ক হাওড়া ব্রিজকে বিশেষভাবে সাজানো হল এই উপলক্ষে। অলিম্পিকের রিং - এর পাঁচটি রঙে আলো জ্বলবে এবং নিভবে। মানুষের যাতে দেখে এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞের কথা স্মরণ থাকে তাই এমন ভাবনা। তবে এই প্রথম নয়। অতীতেও ভারতের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বা মোহনবাগানের আই লিগ জয়ের পর এভাবেই সাজানো হয়েছিল হাওড়া ব্রিজ। তবে তখন রং আলাদা ছিল।
advertisement
অলিম্পিকের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অলিম্পিক মশাল, অলিম্পিক রিং। অলিম্পিক মানেই সাদা পতাকায় পাঁচটি রিং একে অপরকে জড়িয়ে থাকার প্রতীক। কিন্তু অলিম্পিক রিং-এর মূল ইতিহাস কি? অলিম্পিক রিং-এর আসল মানেটাই বা কি? আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার উদ্যোগে যখন আঠারোশ ছিয়ানব্বই সালে আধুনিক অলিম্পিকের সূচনা হয়, তখন আধুনিক অলিম্পিকের জনক পিয়ের ডি মূলমন্ত্র ছিল-সিটিয়াস,অলটিয়াস,ফরটিয়াস। এই ল্যাটিন শব্দের ইংরেজি মানে ফাস্টার,হায়ার,স্ট্রংগার।
অলিম্পিকের মোটো এই তিন শব্দে তৈরি হলেও, অলিম্পিকের রিং-এর ভাবনা তখনও ছিল না। কোবারটিনের ডিজাইন করা অলিম্পিকের পাঁচটি রিং, যা কিনা উনিশশো বারো সালে অলিম্পিকের প্রতীক হিসেবে তৈরি হয়। অবশেষে উনিশশো কুড়ি সালে বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ের্প অলিম্পিকে প্রথম ব্যবহৃত হয় অলিম্পিক রিং।
অলিম্পিকের পাঁচটি রিংয়ের মাধ্যমে; পাঁচটি মহাদেশকে তুলে ধরা হয়। ইওরোপ, এশিয়া,আফ্রিকা, ওশেনিয়ার পাশাপাশি; দুই আমেরিকাকে তুলে; ধরা হয় একটা রিংয়ের মাধ্যমে। প্রথমে উনিশশো চোদ্দ সালে অলিম্পিক কংগ্রেসে এই অলিম্পিক রিং গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে চালু করার কথা থাকলেও, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য তা চালু করা যায়নি। অবশেষে সপ্তম অলিম্পিকে বেলজিয়ামে তা চালু হয়।
