অবশেষে যেন মুক্তির স্বাদ। আনলক ১ পর্বে সাঁতার অনুশীলন শুরু করলেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সায়নী দাস। আসলে মাছ যেমন জল ছাড়া থাকতে পারে না, সায়নী দাসও জলের বাইরে থাকলে হাঁপিয়ে ওঠেন। সাঁতার কাটাই সায়নীর একমাত্র নেশা। কিন্তু লকডাউনের জেরে ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সায়নী সাঁতারের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন প্রায় ৩ মাস। অবশেষে ফের জলে ফিরলেন সায়নী। মঙ্গলবার থেকে শুরু হল সাঁতার অনুশীলন। প্রায় ৮১ দিন সাঁতার বন্ধ থাকার পর গঙ্গায় অনুশীলন শুরু ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সাঁতারুর।
advertisement
লকডাউনের মধ্যে একটু বেশি মন খারাপ ছিল সায়নী দাসের। তবে ফের সাঁতার শুরু করতে পেরে খুশি তিনি। লকডাউনে বর্ধমানের কালনার বাড়িতেই প্রায় ৩ মাস রয়েছেন সায়নী। গত ২০ মার্চ থেকে জলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই ছিল না বাংলা জলকন্যার। বাতিল করতে হয়েছিল নতুন টার্গেট। আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেলে সাঁতার কাটার স্বপ্ন বাতিল করেছিলেন করোনার প্রভাবে। তাই চলতি বছরে নতুন কোনও টার্গেট নেই। তবে সাঁতার প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখলে তো আর চলবে না। মঙ্গলবার থেকে প্রায় ঘণ্টা তিনেক গঙ্গায় সাঁতার অনুশীলন করছেন সায়নী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পড়ে সঙ্গে স্যানিটাইজার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন এই কলেজ পড়ুয়া। বাবার সঙ্গে সাইকেলে চেপে বাড়ি থেকে গঙ্গার ঘাট। গঙ্গার ঘাটে প্রস্তুতি নিয়ে নেমে পড়ছেন সাঁতার কাটতে। সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম বাবু একটি নৌকা ভাড়া করে মেয়ের সঙ্গে অনুশীলনে হাজির থাকছেন।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অ্যাথলিটদের অনুশীলনী নামার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই মতো সায়নী সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গঙ্গায় সাঁতার কাটছেন। সায়নী জানান, "লকডাউনে মাঠে শারীরিক অনুশীলন করতে পেরেছিলাম শুধু। তবে জলে নামতে পেরে খুব ভাল লাগছে। দ্রুত পুরনো ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছি।"
২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল জয় করার পর ২০১৮ সালে রটনেস্ট চ্যানেল ও ২০১৯ সালে ক্যাটলিনা চ্যানেল জয় করেন সায়নী দাস। ২০২০ সালে টার্গেট ছিল হাওয়াইয়ের মলোকাই চ্যানেল। তার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের কাগজ পেয়ে গিয়েছিলেন সায়নী। ১৬ অগস্ট মা-বাবার সঙ্গে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চ্যানেল জয়ের জন্য নামতেন সায়নী। কিন্তু অতি মহামারী করোনা সবকিছু থমকে দিয়েছে। তবে আগামী বছর এই প্রতিযোগিতায় নামার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে চান সায়নী দাস।