বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে একাধিক বিষয় চাপে রাখছে ইংল্যান্ড দলকে। তারমধ্যে অন্যতম হল এই ম্যাচেও সম্ভবত বেন স্টোকসকে পাচ্ছে না দল। তারউপর প্রথম ম্যাচে ভাল শুরু করেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাটাররা। বোলাররাও প্রয়োজনের সময় দলকে ২৮০ ডিফেন্ড করে দিতে পারেনি। ফলে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেইন অনেকটা মেরামতি দরকার। তবে ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকেই ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া ইংল্যান্ড।
advertisement
অপরদিকে, বিশ্বকাপের আগে নানা সমস্যা জর্জরিত ছিল বাংলাদেশ দল। চোট সমস্যা থেকে তামিম ইকবালের বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্দরে কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় এক লহমায় দলের পরিবেশ অনেকটা পাল্টে দিয়েছে। সেই গুমোট ভাব কেটে গিয়ে শাকিব আল হাসানের দলের অন্দরে। বাংলা টাইগার্স এবার এক ঝাপাতে তৈরি ব্রিটিশ বধে।
ইংল্যান্ড ম্যাচে বাংলাদেশের সবথেকে বড় অ্যান্ডভান্টেজ হল ধরমশালায় খেলা। প্রথম ম্যাচ এখানে খেলেছে বাংলাদেশ। ফলে পিচ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল শাকিবরা। আর আশ্চর্যের বিষয় হল ধরমশালার উইকেট সাধারণত পেস সহায়ক হয়। কিন্তু প্রথম ম্যাচে পেসার ও স্পিনার বাংলাদেশের উভয় বিভাগই এখান থেকে সাফল্য পেয়েছে। ৩টি করে উইকেট পেয়েছিলেন শাকিব ও মেহেদি। ভাল বোলিং করেছিলেন মুস্তাফিজুর ও শরিফুল। রানের মধ্যে রয়েছে ব্যাটাররাও। সব মিলিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেতে বদ্ধপরিকর বাংলা টাইগার্সরা।
প্রসঙ্গত, দলগত শক্তির বিচার করলে বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হারের পর পরিস্থিতি কিছুটা চাপের বাটলারদের জন্য। অপরদিকে, জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে ফুরফুরে মেজাদে বাংলাদেশ। আর ভারতের উইকেটে বাংলাদেশের স্পিানাররা যে কোনও দলকেই চাপে ফেলতে পারে। তাই আজকের মেগা ম্যাচে ইংল্যান্ডকেই কিছুটা ব্যাকফুটে রাখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।