ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ভাল ব্যাটিং করে ৫ বারের বিশ্বজয়ীরা। ৯৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাছাড়া মিডল অর্ডারে দলের ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন। ৬৮ বলে ৭১ করেন স্টিভ স্মিথ ও ৪৭ বলে ৬২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন লাবুশেন।
advertisement
তবে সকলকে ছাপিয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দীর্ঘ দিন পর তাঁকে ফের দেখা যায় রণংদেহী মেজাজে। একের পর এক মারকাটির শট খেলেন স্লগ ওভারে। মাত্র ৪০ বলে শতরান পূরণ করেন ম্যাক্সি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরানের রেকর্ডও নিজের নামে করেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাক্সি। ষ৯টি চার ও ৮টি ছয়ে সাজানো ম্যাক্সওয়েলের ইনিংস।
রান তাড়ে করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। অজি বোলিং অ্যাটাকের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। বিক্রমজিৎ সিংয়ের ২৫ রানের ইনিংস ছাড়া কোনও ডাচ ব্যাটার ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২১ ওভারে ৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ৩০৯ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
এদিন অজিদের হয়ে দুরন্ত বোলিং করেন অ্যাডাম জাম্পা। একাই ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২টি উইকেট নেন মিচেল মার্শ। একটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স। এত বড় ব্যবধানে জয়ের ফলে রানরেটে অনেকটাই উন্নতি হল অস্ট্রেলিয়ার। ৫ ম্যাচে ৩ জয় ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকল প্যাট কামিন্সের দল।