ভারতীয় ক্রিকেটে সোমবার জাজমেন্ট ডে। আড়াই বছর ধরে চলা বোর্ডের মামলায় অবশেষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে লোধার সুপারিশেই সিলমোহর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং ইব্রাহিম কলিফুল্লার বেঞ্চ।
ক্রিকেটে সুপ্রিম রায়
- কার্যকর এক রাজ্য, এক ভোটের নিয়ম
- পাল্টাতে হবে বোর্ডের সংবিধান
advertisement
- ক্ষতিগ্রস্থ হবে মহারাষ্ট্র-গুজরাতের মতো রাজ্যগুলি
- মুম্বই, মহারাষ্ট্র, বিদর্ভ রোটেশনে একটি ভোট
- একই নিয়ম বলবৎ গুজরাত, সৌরাষ্ট্র এবং বরোদার ক্ষেত্রে
- বাংলা থেকে একই নিয়মের আওতায় সিএবি এবং এনসিসি
- ভোটাধিকার থাকবে মিজোরাম, অরুণাচলের মতো পিছিয়ে থাকা রাজ্যেগুলিরও
- বোর্ডে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৭০ বছর
- উর্ধ্বসীমা বলবৎ হবে সব রাজ্য সংস্থার ক্ষেত্রেও
- ক্রিকেট সম্প্রচারের মডেলে রদবদল
- লোধা সুপারিশে বিজ্ঞাপন-মুক্ত ক্রিকেট সম্প্রচারের প্রস্তাব ৷ যে প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ৷ ওভারের ফাঁকে বিজ্ঞাপন নিয়ে সিদ্ধান্ত অবশ্য বোর্ডের হাতে ৷ তাই টিভিতে বিজ্ঞাপন বন্ধের সম্ভাবনা আপাতত কম ৷
- ক্রিকেট সত্ত্ব থেকে উপার্জনে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় বোর্ড
- বোর্ডে নিষিদ্ধ হচ্ছে মন্ত্রী-আমলাদের আনাগোনা
- ক্রিকেটকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার নির্দেশ
- স্বচ্ছ্বতা আনতে গভর্নিং কাউন্সিলে রাখতে হবে ক্যাগ সদস্যকে
- ক্রিকেট বেটিংকে আইনসিদ্ধ করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক সংসদ
লোধা সুপারিশ মেনে কার্যকর করতে হবে এক রাজ্য, এক ভোটের নিয়ম। এই রায়ের ফলে পাল্টাতে হবে বোর্ডের সংবিধান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মহারাষ্ট্র-গুজরাতের মত রাজ্য। এখন থেকে মুম্বই, মহারাষ্ট্র, বিদর্ভ ও ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র একটি সংস্থারই রাজ্য থেকে ভোটাধিকার থাকবে রোটেশন পদ্ধতিতে। একই নিয়ম বলবৎ গুজরাত, সৌরাষ্ট্র এবং বরোদার ক্ষেত্রে। বাংলা থেকেও একই নিয়মের আওতায় পড়ছে সিএবি এবং এনসিসি। উল্টোদিকে ভোটাধিকার পেয়ে যাবে মিজোরাম, অরুণাচলের মতো পিছিয়ে থাকা রাজ্য।
৭০ বছরের বেশি কেউ ক্রিকেট প্রশাসনে থাকতে পারবেন না। বয়সের এই উর্ধ্বসীমা বোর্ডের পাশাপাশি বলবৎ হবে সব রাজ্য সংস্থার ক্ষেত্রেও।
রায়ের জেরে বৈপ্লবিক সংস্কার আসতে চলেছে দেশের ক্রিকেট সম্প্রচারের মডেলে। লোধা সুপারিশে বিজ্ঞাপন-মুক্ত ক্রিকেট সম্প্রচারের যে প্রস্তাব ছিল তাতেও সিলমোহর দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বোর্ডের।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বোর্ডে নিষিদ্ধ হচ্ছে মন্ত্রী-আমলাদের আনাগোনা। এতদিন ভারতীয় ক্রিকেটের অলিন্দে যে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করত, এই রায়ের ফলে তাতে নিরপেক্ষতা আসবে বলে আশাবাদী মামলাকারী বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আদিত্য প্রতাপ বর্মাও।
শীর্ষ আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে, স্বচ্ছ্বতা আনতে এবার থেকে গভর্নিং কাউন্সিলে রাখতে হবে ক্যাগ সদস্যকে। তবে দেশে ক্রিকেট বেটিংকে আইনসিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সংসদ এবং সরকারের ওপরেই ছেড়েছে বেঞ্চ।
রায় কার্যকর করার জন্য হাতে ৬ মাস সময় পাচ্ছে বিসিসিআই। সঠিকভাবে সুপারিশ রূপায়িত হচ্ছে কী না, তা দেখার ভার দেওয়া হয়েছে স্বয়ং বিচারপতি লোধার কমিশনকেই। ফলে, ৮৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটে কতটা বোর্ডের ‘কন্ট্রোল’ থাকবে, তা নিয়েই তৈরি হল প্রশ্নচিহ্ন।