বৈঠকে উপস্থিত থাকতে লন্ডন থেকে বুধবার রাত্রে পৌঁছে গিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভরা রয়েছেন মাদ্রিদের ফোর সিজন হোটেলে। এই হোটেলেই রয়েছেন মোহনবাগানের প্রতিনিধি সচিব দেবাশীষ দত্ত এবং মহমেডানের প্রতিনিধি সচিব ইসতিয়াক আহমেদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন হোটেল রিৎজে।
advertisement
মাদ্রিদ বিমানবন্দরে পৌঁছানো মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সঙ্গে আগত প্রতিনিধিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত প্রতিনিধিদের তিনটি পৃথক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এত দূর তো ঠিকই চলছিল! তাল কাটল এরপরেই। মাদ্রিদে ফুটবল বিষয় মিটিং অথচ সেই মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোনও প্রতিনিধি। ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধি সহ-সচিব রূপক সাহা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দিল্লিতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি থেকে উড়ান ধরে মিউনিখ হয়ে মাদ্রিদ পৌঁছবেন শুক্রবার সকালে। অর্থাৎ মাদ্রিদের প্রথম বৈঠকে থাকা হচ্ছে না লালু হলুদের কোনও প্রতিনিধির। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার অবশ্য পুরো ঘটনাটার জন্য দুর্ভাগ্যকেই দায়ী করছেন।
আরও পড়ুন– এক ফ্রেমে কুয়াদ্রাত ও লোবেরা! ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আড্ডায় বিভোর দুই স্প্যানিয়ার্ড
প্রাথমিকভাবে ইস্টবেঙ্গল সভাপতি প্রণব দাশগুপ্তর মাদ্রিদ যাওয়ার কথা হয়েছিল। অসুস্থতার কারণে শেষ সময়ে প্রণববাবুর পরিবর্তে ক্লাবের সহ-সচিব রূপক সাহাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। সেই মতো দিল্লিতে ভিসার আবেদনও করা হয়। দিল্লী পৌঁছে যান সহ-সচিব রূপক সাহা। সেখানে ভিসা পেতে দেরি হয় ইস্টবেঙ্গল সহ-সচিবের।
বৃহস্পতিবার রাতের উড়ানে মাদ্রিদ রওনা হওয়ার কথা তাঁর। তবে মাদ্রিদের বৈঠকে না থাকলেও ১৬ই সেপ্টেম্বর বার্সেলোনার বৈঠকে নিজেদের গুরুত্ব এবং উপস্থিতি বোঝানোর জন্য যথেষ্ট হোমওয়ার্ক সেরেই যাচ্ছেন রূপকবাবু। উপহার হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ক্লাবের জার্সি, শতবর্ষের মুদ্রা ও উত্তরীয়।