আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য নীতা আম্বানি দলের এই জয়কে “সাহস, স্থিতিস্থাপকতা ও অদম্য মনোবলের বিজয়” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের দৃষ্টিহীন মহিলা ক্রিকেট দল দেখিয়েছে যে সত্যিকারের দৃষ্টি আসে হৃদয় থেকে। তাদের সাফল্য শুধু মাঠে নয়, দেশের অসংখ্য মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখার সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। দল ও তাদের পরিবারের প্রতি তিনি আন্তরিক অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
advertisement
ফাইনালে নেপালকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৪ রানে আটকে দেয় ভারত। জবাবে ভারতীয় ব্যাটাররা শুরু থেকেই অনবদ্য ব্যাটিং করেন। খুলা শারীর ২৭ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে ১২.১ ওভারে জয় এনে দেন। ৪৭ বল হাতে রেখে ভারতের এ দাপুটে জয় তাদের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক সাফল্যেরই প্রতিফলন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় এবং সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোও তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরের ওপেনিংয়ে বড় চমক! কে হবেন রাহানের সঙ্গী? তৈরি নাইটদের তালিকা!
ছয় দলের এই টুর্নামেন্টে ভারত লিগ পর্বে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে শীর্ষে ওঠে। এরপর সেমিফাইনালে আবারও অস্ট্রেলিয়াকে সহজেই হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে, নেপাল পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ের টিকিট পায়। দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং শেষে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্ট ভারতের দৃষ্টিহীন নারী ক্রিকেট দলের উত্থানকে আরও সুদৃঢ় করে, যা দেশজুড়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
