আরও পড়ুন - Sehwag vs Shoaib : সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল লেগে গেল সেহওয়াগ এবং শোয়েবের! কারণটা জানেন?
জারিনের লড়াই তাই শেষ হয়ে যায়নি। বরং নতুন করে শুরু হল। ২০১৮ সালে রিংয়ে ফিরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয় করেন। ২০১৯ সালে এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং থাইল্যান্ড ওপেনেও পদক পান। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে সুযোগ না পেলেও ভেঙে পড়েননি।
advertisement
জারিনের বাবা মহম্মদ জামিল আরো বলেছেন, আমি তাকে বারবার বলতাম, কত মেয়ে তোমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে খেলতে আসছে। তোমার এটা দেখেই খুশি হওয়া উচিত। নিজের খেলায় উন্নতি করার কথাও বলতাম। নিখাতের চাচা সামসুদ্দিনের দুই ছেলেই ছিলেন বক্সার। ফলে অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য পরিবারের বাইরে অন্য কাউকে দেখার প্রয়োজন হয়নি।
১৪ বছর বয়সে জিতে নেন বিশ্ব যুব বক্সিং শিরোপা। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতার আগে পর্যন্ত তাকে থাকতে হয়েছে ভারতের আরেক খ্যাতিমান বক্সার মেরি কমের ছায়ায়। ২০১৬ সালে সিনিয়র পর্যায়ে খেলা শুরু করেন জারিন। জাতীয় পর্যায়ে ফ্লাইওয়েট বিভাগে জিতে নেন শিরোপা।
আপাতত বাবা হিসেবে গর্বিত হলেও জামিল মনে করেন সন্তুষ্টির জায়গা নেই নিখাতের। আন্তর্জাতিক সাফল্য বেশি করে পেতে গেলে এবং কিংবদন্তি হতে গেলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্যারিস অলিম্পিকের ওজন কমিয়ে খেলার ভাবনায় নিখাত। তার জন্য কিছু বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
জারিন বলছেন অতীতে মেরি কমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি তিনি আর মনে রাখতে চান না। মেরি কম কিংবদন্তি। তিনি নিজের নামেই বক্সিং জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে চান। জারিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ী মহিলা বক্সার লাভলিনা।