ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে কিউইরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস খেললেন ডেভন কনওয়ে। রান তাড়া করতে নেমে অজিদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার।
advertisement
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নেমে দুরন্ত শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। ৪ ওভারের মধ্যেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন দুজনে। ৫৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। ১৬ বলে ৪২ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন ফিন অ্যালেন। এরপর ডেভন কনওয়ের সঙ্গে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন কনওয়ে ও উইলিয়ামসন জুটি। ১২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ২৩ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন।
এরপর একদিক থেকে কনওয়ে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। অর্ধশতরানও পূরণ করেন। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি গ্লেন ফিলিপস। ১২ রান করে হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকার হন ফিলিপস। ১৫২ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। শেষের দিকে কনওয়ে ও জিমি নিশাম রানের গতিবেগ বাড়ান। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন দুজনে। শেষ পর্যন্ত ২০০ রান করে নিউজিল্যান্ড। ৫৮ বলে ৯২ রান করে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে এবং ১৩ বলে ২৬ করেন নিশাম।
২০১ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। রানের চাপে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে ব্যাগি গ্রিনরা। কিউই বোলারদের বোলিংয়ের সামনে কার্যত তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮ ও প্যাট কামিন্স ২১ রানের ইনিংস না খেললে আরও লজ্জাজনক স্কোরের সম্মুখীন হতে হত অস্ট্রেলিয়াকে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ১০ জন ক্রিকেটার চূড়ান্ত, ১১ নম্বর কে, চিন্তায় রোহিত-দ্রাবিড়
ম্যাক্সওয়েল ও কামিন্স ছাড়া অন্য কোনও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ২০ রানে গণ্ডি পার করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে ১১১ রানে অলআউট হয়ে যায়া অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবথেকে বেশি ৩টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া ২টি উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন লকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি।