বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাটকে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে নিশানা করা হয়েছে সৌরভকে। বিরাট কোহলির বিতর্কিত সাংবাদিক সম্মেলন আগুনে ঘি ঢেলেছে আরো। সৌরভকে মিথ্যা কথা বলার দায় অভিযুক্ত করেছেন অনেকে। বোর্ড সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেছেন বিরাট ভক্তরা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নেয় না।
advertisement
একদিন আগেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিষ্কার মন্তব্য এসেছিল। বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সৌরভ বলেছিলেন বিসিসিআই নিজের নিয়ম মেনে কাজ করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মত গুরুত্বপূর্ণ সফরের আগে বিরাটকে শাস্তি দিয়ে ফোকাস নাড়িয়ে দিতে চায় না বোর্ড।
সৌরভ নিজে দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকায় এসব ব্যাপার বাকিদের থেকে অনেক বেশি জানেন। বিসিসিআইয়ের ওপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিন বলে জানিয়েছিলেন মহারাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার ব্যাপকভাবে সমর্থন মিলতেNation stands with Dada trends in social media শুরু করল সৌরভের প্রতি। সৌরভ ভক্তরা কেউ কেউ লিখছেন যে মানুষটা ভারতীয় ক্রিকেটকে সাবালক হতে সাহায্য করেছে, তাকে ভিলেন সাজানো মেনে নেওয়া যায় না।
কেউ লিখেছেন সৌরভ যে সময় ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক হয়েছিলেন, বিরাটকে ততটা কঠিন সময় দলের হাল ধরতে হয়নি। সৌরভের সময় ব্যাপক রমরমা ছিল ম্যাচ ফিক্সিং এর। বুকিদের প্রভাব ছিল বেশি। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় দলকে বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন সৌরভ। আর বিরাট পেয়েছেন তৈরি করা একটা দল।
তাই সৌরভকে ঘুরিয়ে মিথ্যাবাদী বলার আগে তার ভাবা উচিত ছিল। শুধু সৌরভ নয়। বোর্ডের সচিব জয় শাহকেও ভিলেন প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। বিরাট কোহলির কোচ রাজ কুমার শর্মা পর্যন্ত বলেছিলেন বোর্ডের উচিত ছিল বিরাটকে সঠিক সময়ে জানানো। সেটা না করে অপমান করা হয়েছে।
বিরাটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কল রেকর্ড এবং ভিডিও ফুটেজ রয়েছে বিসিসিআইয়ের হাতে। কিন্তু সেটা কখন ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করছে সৌরভের এবং বাকি বোর্ড কর্তাদের ওপর।