দু'বলে দরকার ছিল ন'রান। একেবারে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে মার্কো জানসেন ছক্কা খেলেন। তার পরই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ডাগ-আউটে রেগে আগুন মুরলী। সানরাইজার্সের স্পিন বোলিং কোচ মুথাইয়া মুরলীধরন। তিনি যে মাঠে এমন রেগে যেতে পারেন, তা অনেকেরই আন্দাজ ছিল না।
আসলে টি-২০ ক্রিকেটে এটাই মজা। ম্যাচ গড়ালেই রোমাঞ্চের ভিড়। ম্যাচ দুলতে থাকে পেন্ডুলামের মতো। কখনও মনে হয়, ওমুখ দল জিতবে! কখনও মনে হবে, অন্য দল জিতবে!
advertisement
আরও পড়ুন- ছেলে আইপিএল কাঁপাচ্ছে, বাবা এখনও ঠ্যালা গাড়িতে ফল বিক্রি করেন!
বুধবার আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ জমে উঠেছিল শেষ ওভারে। শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল গুজরাট টাইটানসের। জানসেনের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এর পরই লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন রশিদ।শেষ দু'বলে ন'রান দরকার ছিল।
জানসেন রান ডিফেন্ড করতে পারেননি। শেষমেশ ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। তার পরই রাগে ফেটে পড়েন মুরলী। তিনি যে গালাগালি দিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল ভিডিওতে. সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
রশিদ খান ছক্কা হাঁকাতেই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন মুরলী। তার পর প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েন। শেষ বলে ছক্কা মেরে রশিদ খানের ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়াটা মেনে নিতে পারেননি মুরলী। এর পর অনেকেই বলতে শুরু করেন, আইপিএলে মুরলী, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো শান্তশিষ্ট মানুষদেরও রাগ করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন- রশিদের ব্যাটে নাটকীয় জয় গুজরাতের! কাজে এল না উমরানের ৫ উইকেট
ক্রিকেটার হিসেবে মুরলী, দ্রাবিড়দের মাঠে ক্ষোভ উগড়ে দিতে সেভাবে কেউ দেখেননি। বরং তাঁরা শান্ত থাকার জন্যই পরিচিত। পরিস্থিতি যা-ই হোক, দ্রাবিড়, মুরলীরা মাথা ঠাণ্ডা রাখতেন। তবে আইপিএলে এসে তাঁদের সেই স্বভাবে বদল হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনুযায়ী, তাঁরাও মাথা গরম করে ফেলছেন। আর তাতেই অবাক অনেকে।