মুম্বই সিটি এফসি -১
( বিপিন)
#কলকাতা: কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান যা পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপের শেষ চারে উঠেছিল তারা। আজ পরীক্ষা ছিল ফাইনালে যাওয়ার। ডুরান্ড কাপে বাংলা ফুটবলের ধ্বজা এখন মহমেডান স্পোর্টিংয়ে হাতে। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শেষ চারের লড়াইয়ে আন্দ্রে চেরনিশভের দলের সামনে ছিল মুম্বই সিটি এফসি।
advertisement
আইএসএলের তিনটি ক্লাবকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে আসা মহমেডান ফুটবলাররা ছিল বেশ ফুরফুরে মেজাজে। তবে মুম্বইকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন মহমেডান কোচ চেরনিশভ। ডুরান্ড কাপে সেমি-ফাইনালে ওঠা চারটি দলের মধ্যে একমাত্র আই লিগের দল মহমেডান স্পোর্টিং। বাকি তিনটি আইএসএলের।
মহমেডানের দুই বিদেশি স্টপার ওসমানে ও শাহির শাহিন ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছেন। এছাড়া তাজিকিস্তান মিডফিল্ডার নুরিদ্দিন ও ফরোয়ার্ড মার্কাস জোসেফ দলের বড় ভরসা। কোয়ার্টার- ফাইনালে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দু’গোল করে প্রত্যাশার বাড়িয়েছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার আবিওলা ডাওডা। যদিও আজ যিনি ছিলেন না।
ফয়েজ, আভাস, প্রীতম, আজহারদের মত ভারতীয় ফুটবলাররা প্রথম থেকেই দুর্দান্ত শুরু করলেন। মাটিতে দ্রুতগতির পাস খেলে চাপ তৈরি করা হয়েছিল মুম্বইয়ের ডিফেন্সে। প্রথম কুড়ি মিনিট শুধুই সাদা কালোর দাপট। তবে এরপর ধীরে ধীরে বল ধরে খেলা শুরু করল মুম্বই। স্টুয়ার্ট, চাংতে, বিপিন, যাহু, বিনিথ রাইরা চার পাঁচটা পাস খেলে ঢুকে যাচ্ছিল মহমেডান ডিফেন্সে।
কিন্তু আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ খেলা হলেও কাঙ্ক্ষিত গোল আসছিল না। মার্কস জোসেফ অনেক চেষ্টা করলেন, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না। যখন মনে হচ্ছিল খেলা যাবে অতিরিক্ত সময়, ৯০ মিনিটের মাথায় তখনই কাজের কাজ করে গেল মুম্বই।
স্টুয়ার্ট বল বাড়িয়েছিলেন চাংতেকে। মিজো ফুটবলারটি নিজে শট না মেরে বুদ্ধি করে বাড়িয়ে দিলেন বিপিনকে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি মনিপুরী ফুটবলার। তীরে এসে তরী ডুবল মোহামেডানের। ফাইনালে চলে গেল মুম্বই।
সবচেয়ে বড় কথা এমন সময় গোল হজম করল সাদা কালো, তখন আর খেলায় ফিরে আসার সময় নেই। তাই গোটা টুর্নামেন্টে চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলেও বিদায় নিতে হল সাদা কালো শিবিরকে।