আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। কিন্তু এখনও ভারতের অর্থনীতিতে আগের মতো অবদান রেখে যাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের আয়কর বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এবারও এককভাবে নিজ রাজ্য ঝাড়খন্ডের সবচেয়ে বেশি করদাতা হয়েছেন ধোনি।
advertisement
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে ঝাড়খন্ডে সর্বোচ্চ করদাতার অবস্থানটা ধোনি নিজের দখলেই রেখেছেন। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন ধোনি। কিন্তু ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর এত দিন পরও আয় কমেনি প্রাক্তন এই ভারতীয় অধিনায়কের, যা তাঁকে ধারাবাহিকভাবে করদাতাদের তালিকায় শীর্ষে থাকার সুযোগও করে দিয়েছে।
ভারতের কর বিভাগ বলছে, ২০২২-২৩ সালে ধোনির আয় ছিল আগের আর্থিক বছরের প্রায় সমান। আর গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া আর্থিক বছরের জন্য আয়কর বিভাগে অগ্রিম ৩৮ কোটি টাকা কর প্রদান করেছেন। এর আগে ২০২০-২১ সালের ধোনি আগাম কর প্রদান করেছিলেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের হিসাব বলছে, ধোনি যদি ৩৮ কোটি টাকা কর হিসেবে প্রদান করেন, তার মানে তাঁর আয় আনুমানিক ১৩০ কোটি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার প্রায় তিন বছর পরও ধোনির এই আয়কে ঈর্ষণীয় বলতে হয়। এর আগে ২০১৯-২০ সালে ধোনি কর দিয়েছিলেন ২৮ কোটি । ২০১৮-১৯ সালেও সমান কর প্রদান করেছিলেন বর্তমানে আইপিএলে খেলা এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ধোনি কর দিয়েছিলেন ১২ কোটি ১৭ লাখ। আর ২০১৬-১৭ সালে তিনি কর দিয়েছিলেন ১০ কোটি ৯৩ লাখ।
ক্রিকেট ছাড়া বেশ কিছু কোম্পানিতেও বিনিয়োগ রয়েছে ধোনির। যেসব কোম্পানিতে ধোনির বিনিয়োগ আছে, তাদের ভেতর হোমলোন, কারস ২৪, খাতাবুক উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে রাঁচিতে তাঁর ৪৩ একর জমিও রয়েছে। বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্ব করছেন ধোনি। সেখানেও তার জয়ের খিদে আগের মতই রয়ে গিয়েছে বোঝা যায়।