( আল নেসরি )
পর্তুগাল - ০
#দোহা: ৭০ বছর বয়সে এসে মানুষের সাধারণত আর ভয় কাজ করে না। একই অবস্থা পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসের। চাকরি যাওয়ার ভয় পান না সেটা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচেই। পর্তুগালের জার্সিতে ১১৮ গোলের মালিক। ব্যালন ডি অর, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না হয় সরিয়েই রাখা গেল। রোনাল্ডোর জন্যই তো দুনিয়া জোড়া পর্তুগালের ফ্যান।
advertisement
তাঁর থেকে ক্যাপটেনস আর্ম ব্যান্ড খুলে তাঁকে ডাগ-আউটে বসিয়ে দেওয়া! ফের্নান্দো স্যান্টোস দেখালেন প্রয়োজনে তিনি আবারও একই পথে হাঁটতে পারেন। সুইজারল্যান্ড ম্যাচের পর এদিন মরক্কোর বিরুদ্ধেও প্রথম দলে রাখলেন না রোনাল্ডোকে।৪-১-২-৩ ছকে দল নামিয়েছিল মরক্কো।
একই ফর্মেশন ছিল পর্তুগালের। একটা পরিবর্তন। কর্ভালোর জায়গায় নেভেস। মরক্কোর ডিফেন্স কতটা শক্তিশালী সেটা প্রমাণিত ছিলই। পর্তুগাল প্রথমার্ধে বলের দখল বেশি রাখলেও ফেলিক্স এর একটি শট এবং ব্রুনোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। উল্টে ৪২ মিনিটে এগিয়ে যায় মরক্কো। হেডে গোল করেন এন নেসরি। তবে গোলটা হজম করার ক্ষেত্রে পর্তুগাল গোলরক্ষক কোস্তার সম্পূর্ণ দোষ।
দেখার ছিল দ্বিতীয়ার্ধে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পর্তুগাল। সুইস ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা গঞ্জালো রামোসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রথমার্ধে। তাকে বল স্পর্শ করতে দেয়নি মরক্কো ডিফেন্স। ৫০ মিনিটের মাথায় রোনাল্ডো এবং ক্যানসেলওকে একসঙ্গে নিয়ে এল পর্তুগাল।
দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণ শুরু করল পর্তুগাল। কিন্তু কিছুতেই ভাঙা যাচ্ছিল না মরক্কোর জাদরেল ডিফেন্সকে। ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়া একের পর এক পর্তুগিজ আক্রমণ ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন মরক্কানরা। ব্রুনোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর পর্তুগাল আরো দুটো পরিবর্তন নেয়। রাফায়েল লিও এবং ভিতিনহাকে নামানো হয়।
বেলজিয়াম এবং স্পেনকে বিদায় করার পর এবার রোনাল্ডোর পর্তুগালকেও দেশে ফেরার পথ দেখাল মরক্কো। কে বলেছে আন্ডারডগ তারা? তিনটে বিশ্বমানের দলকে হারায় যারা, তাদের স্যালুট করতেই হবে। শেষ দিকে রোনাল্ডোর একটি শট বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বোনো।
শেষ দিকে লাল কার্ড দেখেন মরক্কোর চেদিরা। শেষ পাঁচ মিনিট পর্তুগাল একজন বেশি নিয়ে খেলল।তাতেও কিছু হল না। শেষের সহজ হেড মিস করলেন পেপে। বাঘের মত লড়াই করে ইতিহাসের জায়গা করে নিল মরক্কো।আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জায়গা করল তারা।
