কামিংসকে দলে নিতে মুখিয়ে ছিল আইসিএলের অনেক দলই। তবে মোহনবাগানের দেওয়া প্রস্তাবের কাছে ধোপে টেকেনি কেউই। কারণ বাগান শিবির প্রথম থেকেই তাঁকে দলে নিতে মরিয়া ছিল।
কারণ গতবছর বাগান চ্যাম্পিয়ন হলেও স্ট্রাইকার সমস্যায় ভুগতে হয়েছে তাদেরকে। ফলে কামিংসের দিকেই নজর ছিল সবার। অবশেষে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়ে তিন বছরের জন্য বাগানে কামিংস। কাতার বিশ্বকাপে খেলেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার। সেখানেই বাগান কর্তাদের মনে ধরেন কামিংসকে। মোহনবাগান যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে সেই পরিমাণ অর্থ কোনও ক্লাবই দিতে রাজি হয়নি।
advertisement
তাই শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের সাথে চুক্তি করতেই রাজি হয় কামিংসের ক্লাব। এই চুক্তির ফলেই ভারতীয় ফুটবলে কোনও বিদেশি স্ট্রাইকার আসল রেকর্ড পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে। এখন সবুজ মেরুন দলের সমর্থকরা অপেক্ষায় রয়েছেন কামিংস ও দিমিত্রি জুটি কেমন খেলবে তা দেখার জন্য। জেসন নিজে জন্মসূত্রে স্কটিশ হলেও এখন তার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব।
তার মা অস্ট্রেলিয়ান। জেসন বা পায়ের ফুটবলার হলেও প্রয়োজনে ডান পা ব্যবহার করতে পারেন। তার চুক্তির পরিমাণ না জানানো হলেও সব মিলিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকার আশেপাশে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। জেসন জানিয়েছেন তাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সবুজ মেরুন সমর্থকরা এর মধ্যেই প্রচুর ভালোবাসা পাঠিয়েছেন।
তিনি জানেন মোহনবাগানের অতীত এবং বর্তমানের কথা। সামনে এশিয়ার সেরা হওয়ার লক্ষ্য আছে তাদের। নিজের সেরাটা দিতে তৈরি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এই তারকা ফুটবলার। নিজের ক্লাব সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সকে চ্যাম্পিয়ন করে এসেছেন। হ্যাটট্রিক করেছিলেন। সবুজ মেরুন
জার্সিতেও নিজের ছন্দ বজায় রাখতে পারবেন আশাবাদী তিনি।