আরও পড়ুন– ‘হেরা ফেরি ৩’ থেকে সরে দাঁড়ালেন পরেশ রাওয়াল, ফেরত দিলেন সুদ-সহ পারিশ্রমিকের টাকাও !
সব ঠিকঠাক চললে জুনের ২২ বা ২৯ তারিখ মোহনবাগানে নির্বাচন। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র হিসেবে মোহন জনতার আড্ডায়-আলোচনায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। কম-বেশি ৬০০০ ভোটার এবার নির্ধারণ করবেন মোহনবাগান ক্লাবের দায়িত্বভার কাদের ওপর বর্তাবে! যদিও বটতলা বলছে, উত্তর কলকাতা ও হাওড়া যার, বাগান তাঁর! ছয় হাজার ভোটারের মধ্যে উত্তর কলকাতা ও হাওড়ার ভোটার সিংহভাগ।
advertisement
এক কালে ক্লাবে জয়-বীরু (শোলে সিনেমার বিখ্যাত জুটি) বলে পরিচিত সৃঞ্জয় বোস, দেবাশীষ দত্ত এই যাত্রায় জুলিয়াস সিজার বনাম পম্পেইয়াস ম্যাগনাসের ভূমিকায়। ময়দান তো আবার লালু-নীতীশের উদাহরণও টানছেন।
সে যাই হোক, ক্রমাগত কৌশল বদলে ভোট প্রচারের পালে হাওয়া টানার চেষ্টা দুই পক্ষেই! দুই হেভি-ওয়েটের ভোট কৌশলে ফারাক অবশ্য রয়েছে! সৃঞ্জয় যেখানে ‘তোমাকে চাই’ হোডিং, ব্যানারে প্রচার সভা সাজিয়ে বড় সভায় মন দিয়েছেন। কৌশলী দেবাশীষের সেখানে লক্ষ্য পকেট ভোট। রাজনৈতিক নেতাদের দৌত্য পেতেও দুই পক্ষে সমান দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত! প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয়ের প্লাস পয়েন্ট তাঁর শিবিরে টুটু বোসের উজ্জ্বল উপস্থিতি। ক্লাব সদস্য-সমর্থকদের মতে, মোহনবাগানে বোস পরিবারের অবদান ভোলার নয়! আই লিগে সাসপেনশন তোলা থেকে বছরের পর বছর বড় বাজেটের দল গড়া, বাগানে ভরসা ছিল এই বোস পরিবারই! তাই বাগানে বোস মানেই আবেগের ঢল, কৃতজ্ঞতার আগ্নেয়গিরি! ২০১৮-র ক্লাব নির্বাচন অন্তত তাই বলে! পুত্র সৃঞ্জয়ের সমর্থনে মুখ খুললেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী প্রচারে এখনও শামিল হতে পারেনি বাগানের ‘ডাবল টু’। তিনি সশরীরে আসরের নামার পর বাগানে প্রাক-ভোটের ছবিটা কি দাঁড়ায়, সেটাও দেখার! আর ডাবল টু নিজেই হুংকার দিয়ে রেখেছেন,”টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়।” গঙ্গা পাড়ের বাগানে বাঘের এন্ট্রি কেমন হয়, দেখার অপেক্ষায় বটতলা ৷
মগজাস্ত্রের জোরে পাঙ্গা নেওয়ায় খামতি নেই বিদায়ী সচিব দেবাশীষ দত্তর। মোহনবাগানের অন্যতম সফলতম সচিব প্রয়াত অঞ্জন মিত্রর মেয়ে সোহিনীকে সঙ্গী করে বাগান জনতার টুটু আবেগে লকগেট নামানোর মরিয়া চেষ্টায় ডি-ডি। ভোট অঙ্কে প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে বাগানের নির্বাচনী সমীকরণ। সামনে তো এখনও মাস পড়ে !