প্রথম থেকেই বল নিজেদের দখলে রাখা, সেকেন্ড বল ছিনিয়ে নেওয়া এবং ডিফেন্স শক্ত রেখে চার-পাঁচটা টাচ খেলে ওপেন জায়গা তৈরি করে নেওয়া – এটাই ছিল আজ মোহনবাগানের স্ট্র্যাটেজি। আর এই স্ট্রাটেজিতেই মাত খেয়ে গেল মুম্বই। মুম্বইকে মোহনবাগান হারাতে পারে না, এই মিথ ভেঙে দেখিয়ে দিলেন আশিক, হুগো, সাহলরা। আজ নিজের পুরনো ছন্দে পাওয়া গেল হুগোকে।
advertisement
আশিক ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। কামিংস বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি মানিয়ে নিচ্ছেন ভারতীয় ফুটবলে। সাদিকু লড়াই করছেন, পুরো ফিট হতে এখনও বাকি। বক্স টু বক্স খেলছেন অনিরুদ্ধ। নতুন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর তার জাত চেনাচ্ছেন। মনবীর গোল করলেন, প্রয়োজনে ডিফেন্স করলেন।
আর লিস্তন, দিমিত্রি, গ্লেন মার্টিনরা পরে নেমে বুঝিয়ে দিলেন তাদের আটকাতেও জিভ বেরিয়ে যাবে বিপক্ষ দলের। ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ হুয়ান জানিয়ে গেলেন তিনি খুশি মুম্বই মিথ তার দল ভাঙতে পারায়। কিন্তু মোহনবাগান এখন সবে ৬০ শতাংশ ফিট। আর ২০ শতাংশ বাড়াতে পারলে এই দল অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে ভারতীয় ফুটবলে।
একদিন বিশ্রাম দিয়ে সেমিফাইনালে গোয়ার বিপক্ষে ছক সাজানো শুরু করবেন মোহনবাগান কোচ। গোয়া চেন্নাইকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। অতীতে মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ম্যাক হিউ, সন্দেশ আছেন দলটায়। এখন দেখার মুম্বইকে উড়িয়ে দেওয়ার পর গোয়াকে হারাতে পারে কিনা মোহনবাগান।