সরাসরি ফাইনালে যাওয়ার জন্য ২ গোলের ব্যবধানেই জিততে হত মোহনবাগানকে। ১ গোলে জিতলে খেলা গড়াত টাইব্রেকারে। ফলে আক্রমণ ছাড়া কোনও উপায় ছিল না হোসে মোলিনার ছেলেদের। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণ শুরু করে সবুজ-মেরুণের অ্যাটাকিং লাইন। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধ একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও জালে বল জড়াতে পারেনি মোহনবাগান। সুযোগ নষ্ট না করলে প্রথমার্ধেই গোলের মুখ খুলতে পারত মলিনার দল।
advertisement
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে প্রথম গোল পায় মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে বল হাতে লাগিয়েছিলেন প্রণয় হালদার। যে কারণে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। আর জালে বল জড়াতে কোনও ভুল করেনি জেসন কামিংস। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা চললেও কোনও দল গোলের মুখ খুলতে পারছিল না। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিল খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: আরও এক ইতিহাস গড়লেন বিরাট কোহলি, যা কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের নেই
কিন্তু ফুটবল ঈশ্বর এদিন মোহনবাগানের সহায় ছিল। ইনজুরি টাইমে চোখ ধাঁধানো গোল করে সবুজ-মেরুণের জয় নিশ্চিত করেন মিজোরামের ফুটবলার আপুইয়া। ম্যাচের ৯৪ মিনিটে বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন আপুইয়া। আর জালে বল জড়াতেই উৎসব শুরু হয়ে যায় যুবভারতীতে। ফাইনালে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু।