দলের ৭ জন প্লেয়ার না থাকা, প্রধান কোচ লোপেজ হাবাস না থাকা সহ নানা প্রতিকুলতার মধ্যে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সবুজ-মেরুণ। কোচের হট সিটে ছিলেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। এদিন কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শুরুটা ভাল হয়নি মোহনবাগানের। ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল হজম করতে হয় বাগানকে। মোহনবাগানের ডিফেন্ডার ও গোলকিপারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে গোল করেন ছুঙ্গা। ডিফেন্ডারের ব্যাকপাস থেকে বল ধরতে পারেননি আর্শ। বল পেয়ে যান ছুঙ্গা। তিনি ফাঁকা জালে গোল করে হায়দরাবাদকে এগিয়ে দেন।
advertisement
এরপর গোল শোধ করার জন্য় মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগও তৈরি করেবাগানের অ্যাটাকিং লাইন। কিন্তু হয়াদরাবাদ এফসির জমাটি ডিফেন্স ও ভাগ্য দেবতার সহায়তায় প্রথমার্ধে বেঁচে যায়। কোনও সুযোগেই গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাগান শিবির।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেও কিছুতেই গোলের মুখ খুলতে পারছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল সবুজ-মেরুণ। সেই সময় সকলে একপ্রকার ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ হাতছাড়া হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তারপরই ঘোরে পাল তোলা নৌকার ভাগ্যের চাকা। ৮৮ মিনিটের মাথায় জেরেমির আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ১-১ সমতায় ফিরল মোহনবাগান। জেরেমি হেডে বল মাঠের বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বল গোলকিপার কাট্টিমণির মাথার উপর দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ MS Dhoni: শামি অর্জুন পুরস্কার পেলেও ধোনি কেন পাননি? উত্তর জানা আছে কি আপনার
ম্যাচের ৯১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সের ভিতরে হুগোকে ফেলে দিয়ে ফাউল করেন মার্ক। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। ৯২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করে মোহনবাগানকে জয় এনে দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। এরপর আর ইনজুর টাইমে খেলায় সমতা ফেরাতে পারেনি হয়দরাবাদ। মোহনবাগানের গ্রুপের শেষ ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গবের বিরুদ্ধে।