( সুহেল)
কালীঘাট – ১
( করণ)
কলকাতা: প্রথম তিন ম্যাচ জয়ের পর সুহেল ভাট, টাইসন সিংদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। তা সত্ত্বেও বুধবার কলকাতা লিগের ম্যাচে কালীঘাট এমএসের বিরুদ্ধে নামার আগে সতর্ক ছিলেন সবুজ-মেরুন কোচ। কারণ, গোল হজমের বদভ্যাস রপ্ত করেছে তাঁর দল। আজকের আগে পর্যন্ত ১৩ বার লক্ষ্যভেদে সফল হলেও চারটি গোল হজম করতে হয়েছে সুমিত রাঠিদের।
advertisement
কঠিন গ্রুপে গোলপার্থক্য অবশ্যই ফ্যাক্টর হতে পারে। কালীঘাট এমএসের বিরুদ্ধে তাই ক্লিনশিট বজায় রেখে পুরো পয়েন্ট তুলতে মরিয়া ছিল থিঙ্কট্যাঙ্ক। বাস্তবের ব্যাখ্যা ছিল মনঃসংযোগ নষ্ট হলেই মুশকিল। প্রতিপক্ষের ম্যাচ দেখেছি। দলটার ফিটনেস বেশ ভালো। প্রচুর দৌড়ায়। ফুটবলারদের গড় বয়স কম।
জমিতে বল রেখে পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলার চেষ্টা করছে। তাই হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। ম্যাচের শুরুতেই কর্নার আদায় করে নিল কালীঘাট। যদিও গোল করতে পারেনি তারা। পরপর দুবার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ বাগান ফুটবলাররা। ডি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেও বল নিয়ে গেলেও, হল না গোল। ২৯ মিনিটে হাতে বল লাগায় পেনাল্টি। সেখান থেকে গোল করে কালীঘাটকে এগিয়ে দিলেন করণ।
পিছিয়ে গেল বাগান। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু মোহনবাগান মাঠে। ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি পেল মোহনবাগান। গোল করতে ভুল করেননি সুহেল ভাট। মনে হয়েছিল সেকেন্ড হাফে খেলা অনেক বেশি তাগিদ দেখাবে মোহনবাগান। কিন্তু কালীঘাট প্রত্যেকটা বলের জন্য দুর্ধর্ষ লড়াই করল। মোহনবাগানের দিপেন্দু, টাইসন, হানমতেদের পায়ে বল বেশি থাকলেও বক্সের ভেতর মোহনবাগান সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কালীঘাট ডিফেন্ডারদের মরিয়া ভাব থাকায়।
নংদম্বা নাওরেম আজ কেমন যেন ছন্নছাড়া ছিলেন। সুহেলকেও কড়া ম্যান মার্কিং করে রাখা হয়েছিল। কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলছিল কালীঘাট। মোহনবাগানের এঙ্গসন চেষ্টা করলেও কিছুতেই গোল হচ্ছিল না। যত সময় গেল বাগান সমর্থকদের বিরক্তি বাড়তে থাকল। ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় ছিল। গোল করেছিলেন দিপেন্দু। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে যাওয়ায় আজ পয়েন্ট হারাতে হল বাগানকে।