অভিজ্ঞ মহম্মদ শামি এবং তার দোসর মহম্মদ সিরাজ দুজনেই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন বিপক্ষ দলের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মুম্বইতে সিরাজ এবং শামি যেভাবে বল করলেন তা দেখে উচ্ছ্বসিত রবি শাস্ত্রী এবং গাভাসকার। এই তো মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। আহমেদাবাদ টেস্ট ম্যাচ চলার সময় সেখানকার ভক্তরা গ্যালারি থেকে কুৎসিত আক্রমণ করেছিলেন মহম্মদ শামিকে।
advertisement
তিনি একজন মুসলিম ক্রিকেটার জেনেও ইচ্ছা করে দেওয়া হয়েছিল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। যদিও মুখে সেদিন কোনও জবাব দেননি শামি। কিন্তু তিনি যে আঘাত পাননি এমন নয়। কিন্তু সেই আঘাত বহিঃপ্রকাশ করেননি। ভেতরে আগুন হয়ে জমেছিল। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে মুম্বইয়ের ওয়াংখেরে স্টেডিয়ামে জবাব দিলেন শামি।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের মিডল অর্ডারটাই ভেঙে দিলেন শামি। জস ইংলিশ (২৬) কে বোল্ড করলেন। স্তইনিসকে স্লিপে আউট করলেন। ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড করলেন স্বপ্নের একটা ডেলিভারিতে। দেশের মাটিতে সাদা বল বা লাল বলের ক্রিকেটে এখনও তিনিই সেরা পেসার বুঝিয়ে দিলেন শামি। তার এমন বোলিং দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লেন সুনীল গাভাসকর এবং রবি শাস্ত্রী।
সানি বলেই দিলেন শামি কেন সেরার সেরা আজ আবার দেখিয়ে দিল। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংসাত্মক। কিন্তু অভিজ্ঞতা এবং নিয়ন্ত্রণ মিশিয়ে ক্যাঙ্গারু ব্রিগেডকে যেভাবে ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন শামি তাতে তার জাত চেনা গেল আবার। শামিকে দারুণ বল করতে দেখে অন্য প্রান্ত থেকে অস্ট্রেলিয়ার ওপর চাপ বাড়িয়ে দিলেন মহম্মদ সিরাজ।
৩ উইকেট পেলেন। শামির সিম মুভমেন্ট এতটাই ভাল ব্যাটসম্যানদের কিছুই করার থাকে না। হয়তো তিনি এক্সপ্রেস গতির বোলার নন। কিন্তু তার নিয়ন্ত্রিত বোলিং যে কোনও ব্যাটিং দলকে চাপে রাখতে যথেষ্ট। আজ ভারতের বোলিং দাপট এতটাই ছিল অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভার টিকতে পারল না।
৩৬ ওভারে ১৮৮ অল আউট ক্যাঙ্গারু ব্রিগেড। শামি এবং সিরাজ যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছেন। একটা সফল ক্রিকেট দলে সাফল্য পেতে গেলে পেস জুটিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হয়। ভারতের জার্সিতে সেটাই করে দেখাচ্ছেন শামি সিরাজ জুটি।