যখন জিজ্ঞেস করতাম এত কম ওজন তোলার প্রয়োজন কী ? সচিন বলতেন এটা শুধু নিজের শক্তি ঠিক রাখা। বেশি তোলার মানে নেই। আসলে যখন খেলার মধ্যে থাকতাম তখন ওজন তোলার থেকে মাঠের ফিটনেস চর্চা এবং স্কিল সঠিক জায়গায় রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন খেলা বন্ধ থাকত, তখন জিম করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যাতে একেবারে শরীরের জোর কমে না যায়।
advertisement
কিন্তু এখন সম্পূর্ণ উল্টো। বিরাট কোহলি এবং অনেক তরুণ ক্রিকেটার প্রায় ৭০, ৮০ কেজি ওজন তোলে। তাও ক্রিকেট মরশুমে। আমি জানি না এটা সত্যি প্রয়োজন আছে কিনা। আমার মনে হয় এই কারণেই অনেকের চোট সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। খেলার মাঠে নয়, মাঠের বাইরে। স্বাভাবিকভাবেই গায়ে লাগে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে কেউ ছিটকে গেলে।
সম্প্রতি রবীন্দ্র জাদেজা থেকে শুরু করে রাহুল, বুমরাহ, চাহার - একাধিক ক্রিকেটার চোট সমস্যায় ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে জিম করাই ক্রিকেটারদের চোট প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণ এই ব্যাপারে বীরুর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন অনেকেই। আধুনিক ফিটনেস ট্রেনাররা মনে করেন এই মুহূর্তের খেলার সংখ্যা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে, ক্রিকেটারদের বিশ্রামের সময় কমে গিয়েছে।
তার ওপর করোনা দু'বছর ধরে অনেক কিছু পাল্টে দিয়েছে। কোন ক্রিকেটার কতটা ওজন তুলবেন সেটা ঠিক করে দেবেন ট্রেনার। ব্যাপারটা নির্ভর করে এক একজন ক্রিকেটারের শরীরের ওপর। তবে আধুনিক ক্রিকেটের টিকে থাকতে গেলে পাওয়ার ট্রেনিং করতেই হবে এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও।