এদিন যুবভারতী স্টেডিয়ামে ৩৭ মিনিটে মরক্কোর ফরোয়ার্ড হামিদ আহাদাদ ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন, কিন্তু মোহনবাগানের মিডফিল্ডার আপুইয়া হাফ টাইমের অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই এক অসাধারণ গোল করে সমতা ফেরান। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে৷
এদিকে মোহনবাগানের স্ট্রাইকার জেসন কামিংস নির্ধারিত সময়ের খেলায় মোহনবাগানের পাওয়া পেনাল্টি মিস করেন৷ এদিকে খেলা নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পরে এক্সট্রা টাইমেও দু পক্ষের কোনও দলই বিপক্ষের গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয়৷ ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি শ্যুটআউটের আগে জন্য গোলরক্ষক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়৷
advertisement
আরও পড়ুন – Mohammed Shami On Agarkar: ‘ওকে যা খুশি বলতে দাও’ বল হাতে ফের একবার কড়া উত্তর শামির, রনজিতে বাংলার বড় জয়
টিম ম্যানেজমেন্টের বড়সড় সিদ্ধান্ত- ইস্টবেঙ্গল নিয়মিত গোলরক্ষক প্রভুসুখন গিলকে সরিয়ে পেনাল্টি শুটআউটের জন্য অভিজ্ঞ পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ দেবজিৎ মজুমদারকে গোলদুর্গ সামলানোর দায়িত্ব দেন৷ যা ম্যাচকে আরও নাটকীয়তায় মুড়ে দেয়৷ এদিন পেনাল্ট শ্যুট আউটে ইস্টবেঙ্গল প্রথমে কিক করে৷
প্রথম কিকের পর পেনাল্টি শুটআউটে ১-১ দাঁড়ায়। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মিগুয়েল ফিগুয়েরা গোল করেন, আর মোহনবাগানের হয়ে রবসন গোল করেন। দেবজিৎ মজুমদার রবসনের কিকের জন্য সঠিক অনুমান করেছিলেন এবং গোলও প্রায় বাঁচিয়ে দিচ্ছিলেন কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি৷
তিনটি করে পেনাল্টির পরও স্কোর সমান-সমান ছিল৷ দুই দলই প্রতিটি পেনাল্টি থেকেই গোল করেছিল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছেন কেভিন সিবিল এবং নাওরেম মহেশ। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাকো। কোলাকোর পেনাল্টিটি দুর্দান্ত ছিল৷
গুপ্তার মিস – কাইথের সেভ
বিশাল কাইথের হাত মোহনবাগানকে পেনাল্টি শ্যুটআউটে এগিয়ে দেন৷ লেফট-ব্যাক জয় গুপ্তা ইস্টবেঙ্গলের গোল করতে ব্যর্থ হলেন। মোহনবাগানের নম্বর ১ গোলকিপার অসাধারণ ডাইভিং সেভ করলেন। মোহনবাগানের হয়ে ডিমি পেট্রাটোস এগিয়ে দিতে ভুল করেননি এবং গোল করে দলেক এগিয়ে দেন৷ মোহনবাগান অ্যাডভানটেজ পায় – তারা ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে। এরপর মেহতাব সিং দেবজিৎ মজুমদারকে ভুল পথে পাঠান, এবং মোহনবাগান পেনাল্টিতে ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে। জয় গুপ্তার মিস, বিশাল কৈথের সেভ শেষের নির্ণায়ক মুহূর্তটি।
আইএফএ শিল্ডের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের রেকর্ড ছিল ২১-৭। শনিবারের এই জয়ের অর্থ হল মেরিনার্স স্কোর ঠিক করার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, টুর্নামেন্টে ২৯টি কলকাতা ডার্বিতে তাদের অষ্টম জয়।