চার চারটে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি। জীবনে ক্রিকেটের মঞ্চে যাবতীয় সাফল্য পেলেও এই অধরা মাধুরী ছুঁয়ে দেখা হয়নি। এক সময় ঘোষণা করেছিলেন রঞ্জি ট্রফি না জিতলে ক্রিকেট ছাড়বেন না। তবে গতবারের রানার্স দলের অধিনায়ক আচমকাই মরশুম শুরুতে নিজের অবসর ঘোষণা করে ফেলেছিলেন। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় ফের একবার মাঠে নামতে তৈরি হয়েছেন। তবে এবারই শেষ বার। বাংলার হয়ে শেষবার নিজের স্বপ্ন পূরণে মাঠে নামতে চলেছেন মনোজ তিওয়ারি। টার্গেট একটাই রঞ্জি ট্রফি জয়।
advertisement
২০২১ বিধানসভা ভোটে জিতে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। দায়িত্ব বেড়েছে অনেক। তবে ক্রিকেটের টানে আজও নিজের সেরার সেরাটা দিতে তৈরি বঙ্গ অধিনায়ক। হাঁটুর চোট জর্জরিত করলেও কম ব্যাক করেছেন নায়কের মত। এবার তাই সব বাধা অতিক্রম করে শেষবারের মতো রঞ্জি ট্রফি অভিযানে নামছেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। এক কথায় নিজের ক্রিকেট জীবনের ফাইনাল ফ্রন্টেয়ার-এ রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। বর্নময় ক্রিকেট জীবনে এখনও অধরা রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বপ্নে বিভোর মনোজ। তবে শেষবার নিজেকে মেলে ধরতে কোনওরকম খামতি রাখছেন না। বিদায় বেলায় নিজের পারফরম্যান্স যাতে সমালোচকদের কথার মাঝে না পড়ে তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের মাঠে অনুশীলন করছেন নিভৃতে। সঙ্গী অনুষ্টুপ মজুমদার। যে নিজেও ক্রিকেট জীবনের বেলা শেষে।
আরও পড়ুন- শরীরে এই লক্ষণগুলি ফুটে উঠলেই সাবধান; নীরব ঘাতক হয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে কোলেস্টেরল
ক্লাব ক্রিকেটে একটা ম্যাচ খেলে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। চাপের মুখে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে মনোজ বলছেন, ‘‘মাঠে ফাঁকি দেওয়ার জায়গা থাকে না। ফাঁকি দিলে ফাঁকে পড়তে হয়। আমি যতদিন ক্রিকেট খেলেছি কোনওদিন প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখিনি। নিংড়ে দিয়েছি নিজেকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্যস্ততার মধ্যে ক্রিকেট চালিয়েছি। সিএবি আস্থা রেখেছে। নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন। তাদের মর্যাদা রাখতে এবং স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে আমি তৈরি হচ্ছি। এবার দেখা যাক।’’
বাংলা দল শনিবার রবিবার এবং সোমবার অনুশীলন করে বিশাখাপত্তনম উড়ে যাবে। নতুন মরশুমে রঞ্জি ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচের দলে নতুন মুখের ভিড়। অনেকেই বিস্মিত। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি তার দলের নতুন মুখের সারি নিয়ে চিন্তিত নন। “সবাইকেই শুরু করতে হয়। সবাই একটা দিন নতুন থাকে। এই কথা সবার ক্ষেত্রেই এক। আমিও একটা দিন নতুন মুখ ছিলাম। খেলতে খেলতেই পুরানো হয়। প্রমানিত হয়। এবারের দলে যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ক্লাবের হয়ে লিগ ক্রিকেটে ভালো খেলেছে। ধারাবাহিক ভাবে রান করেছে, উইকেট নিয়েছে। এটাই সেরা সময় পরবর্তী ধাপে উত্তরনের। আমি বলব যারা নতুন তাদের প্রত্যেকের কাছে প্রমান করার সুযোগ ৷’’
সতীর্থদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক। এবার শুধুু মাঠে নেমে পড়ার পালা। আর বছর শেষে দেখার, নিজের অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন কিনা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।