দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের ইতি টানার মুখে মনোজ তিওয়ারি। তাই বিহার দলের বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারের শেষ রনজি ম্যাচ খেলতে নামার আগে স্মৃতির সরণিতে মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
শনিবার ইডেনে বিহারের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে বাংলা। চলতি মরসুমের এটাই বাংলার শেষ ম্যাচ। কারণ নকআউট পর্বে যাওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই। তবে ক্রিকেটীয় যুক্তি-তর্ক,পয়েন্টের হিসেব নিকেশ ছাপিয়ে মনোজ তিওয়ারির অবসর পর্ব এই ম্যাচের মূল আকর্ষণ।
advertisement
আরও পড়ুন- ১০০ বছরের ‘সেরা বল’ এটাই? কোনও বোলার আজ পর্যন্ত এমন করতে পারেনি, গ্যারান্টি
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় চরিত্রের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর মুহূর্তের সাক্ষী থাকার সুযোগ কেউ হারাতে চাইছেন না। মনোজের বিদায় লগ্নকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে সিএবি।
রবিবার বাংলা-বিহার ম্যাচের তৃতীয় দিনে সিএবি তাঁদের অধিনায়ককে সংবর্ধিত করবে। বিরাটকে যেভাবে সোনার ব্যাট উপহার দেওয়া হয়েছিল জন্মদিনে। মনোজের জন্য থাকছে সেই একই রকম ডিজাইনের শহরের নামকরা সোনার দোকান থেকে তৈরি ক্রিকেট ব্যাট।
সিএবির লোগো ছাড়াও মনোজকে এত কিছু উপহার দেওয়ার জন্য ও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করার জন্য বিশেষ বার্তা লেখা থাকবে। সতীর্থরাও মনোজকে উপহার তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
ক্রিকেট জীবনের শেষ ম্যাচে নামার আগে মনোজ তিওয়ারি কি আবেগতাড়িত? প্রশ্নটা শুনে হেসে ফেললেন বাংলার দলনেতা। বলছেন,“আমি তো আবেগপ্রবন মানুষ। হয়তো শেষ দিন আবেগতাড়িত হয়ে পড়ব। তবে এই মুহূর্তে কেবলই বিহার ম্যাচ নিয়ে মনসংযোগ করতে চাইছি। আমাদের এবারের রনজিটা ভাল যায়নি। দুটো ম্যাচ আবহাওয়ার জন্য হাতছাড়া হয়েছে। ওগুলো না হলে হয়তো এই অবস্থা হত না। তবে আপাতত শুধুই বিহার ম্যাচটা নিয়ে ভাবতে চাইছি। সাত পয়েন্টের জন্য খেলার পরিকল্পনা থাকছে। টিম মিটিংয়েও সেটা বলেছি।”
আরও পড়ুন- বিরাট-অনুষ্কার প্রেম, বিয়ে সব ভেঙে যেত! যদি ‘এই’ মানুষটা না থাকত মাঝে! জানেন কে?
২০০৪ সালে ইডেনে রনজি ট্রফিতে দিল্লির বিরুদ্ধে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। মাঝের কুড়ি বছরে দলের প্রয়োজনে বারবার মধুসূদন দাদা হয়ে উঠেছেন। তবে শেষ ম্যাচে ব্যক্তিগত লক্ষ্যের থেকেও দলের জয়কে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
ভারতীয় দল থেকে মুকেশ কুমারকে ছাড়া হয়েছে এই ম্যাচটি খেলার জন্য। আকাশদীপের বদলে তিনি দলে থাকছেন। মনোজ বলছেন, মুকেশের মতো প্লেয়ার থাকাটা দলের জন্য বাড়তি পাওনা।