ডুরান্ড কাপের মত ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে আসরে তাই আমন্ত্রণ উপেক্ষা করার প্রশ্নই নেই। ব্যস্ত সময়ের মাঝেও বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে ডুরান্ডের উদ্বোধনী আসরে কাটিয়ে গেলেন বেশ খানিকটা সময়। যুবভারতীর গ্যালারিতে বসে সাক্ষী থাকলেন সেনা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। বর্ণাঢ্য ও ঝলমলে উদ্বোধনের সবটাই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে এইবারের অংশগ্রহণকারী দলের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলেন। সব শেষে মাঠে নেমে ফুটবলে কিক করে ১৩২ তম ডুরান্ড কাপের ঢাকে কাঠি।যাওয়ার আগে ডুরান্ড কাপের সাফল্য কামনায় একইরকম ভাবে আগামী দিনেও রাজ্য সরকার পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়ে গেলেন।
advertisement
আরও পড়ুন– দারুণ উদ্যোগ ! রাজ্যের ২৮টি স্টেশনের লুক হতে চলেছে বিমানবন্দরের ধাঁচে
প্রসঙ্গত এবার ডুরান্ড কাপে ছয়টি গ্রুপে মোট ২৪ টি দল অংশগ্রহণ করছে। কলকাতার ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পাশাপাশি ডুরান্ডে এবার অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশের সেনা দল। অংশগ্রহণ করছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জামশেদপুর এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, মুম্বই এফসি, হায়দরাবাদ এফসি মত দলগুলিও। যার ফলে এবারের ডুরান্ড প্রাক মরশুমের প্রস্তুতি হিসাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এশিয়ার প্রাচীনতম ও বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট এই ডুরান্ড ।
১২ অগাস্ট ডুরান্ডে এই মরশুমে প্রথম বার মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ব্যস্ততার কারণে বাঙালির বড় ম্যাচে গ্যালারিতে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাঙ্গালির এল ক্লাসিকোর খোঁজ যে রাখবেন, সে কথা বলাই বাহুল্য! তবে তিনি নিজে কোন দলের সমর্থক? ইস্টবেঙ্গল? না কি মোহনবাগান? ইংলিশ না কি চিংড়ি? সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য স্মিত হাসি দিয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন। এদিকে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের বড় ব্যবধানের জয় মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে। অপেক্ষা এবার ডুরান্ড কাপে লাল হলুদের মাঠে নামার।